দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা সিএমএম আদালতে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আইনজীবী এবং অঙ্গণে উপস্থিত বিচারপ্রার্থী শত শত লোক। দীর্ঘ ৪ মাস ১০ দিন পর সরাসরি দেশের নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অধিকাংশ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আদালতে প্রবেশের সময় পরীক্ষা করা হয় না তাপমাত্রা। অধিকাংশ আদালতে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে। এতে আতঙ্কের ভয় রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার ( ৬ আগস্ট) আদালতে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের (সিএমএম) প্রবেশ পথে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে। নেই তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মানছেন না অনেকেই। ফলে করোনা পরিস্থিতি যে কোনো সময় আবার ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছেন আদালতে কর্মরত কর্মচারী এবং সচেতন সাধারণ আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মিত আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু করার বিষয় সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সবাইকে হাইকোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে ৩০ জুলাই জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।
আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, নিন্ম আদালত খুলে দেওয়ার পর আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। পরিবেশ স্বাভাবিক হইতে আরও সময় লাগবে। তবে অধিকাংশ আইনজীবী বিচারপ্রার্থীদের মুখে মাস্ক দেখা যায় নি।
তিনি বলেন, আদালতে খুলে দেওয়ার পর আইনজীবী বিচার প্রার্থীদের উপস্থিতি কম হলেও যখন তাদের উপস্থিতি বেড়ে যাবে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ গত ২৬ মার্চ থেকে নিয়মিত আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। দুদিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। #