দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
স্বামী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন দুই সন্তানের জননী শিক্ষাকতা ও গৃহিণী হাসনুর জান্নাত রিমা। তিনি বলেন , বর্তমানে ২টি নাবালিকা সন্তান নিয়ে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। তিনি পাষান্ড স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে চান। তিনি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে নিরাপত্তা চান। তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও গুমোর অপপ্রচার চালিয়ে তার স্বামী। কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের জানান তার দুই কন্যা এবং তিনি অপহরণ বা গুম হননি।
সোমবার (২৪ অগস্ট) সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনুর জান্নাত রিমা তার স্বামীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনেন। লিখিত বক্তেব্যে তিনি জানান, আমি অপহৃত হয়নি আমার স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছি।
এ সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখবেন হাসনুর জান্নাত রিমাসহ তার দুই কন্যা, হাজী শফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্ট, মোঃ রেজাউল করিম সাগর, যুগ্ম মহাসচিব, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্ট এবং সভাপতিত্ব করবেন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান এ এস এম মাহফুজার রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে রীমা বলেন-আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার পেশা-শিক্ষাকতা ও গৃহিণী। প্রায় ১ যুগের বেশী সময় ধরে স্বামীর সংসারে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাড্ডা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলকায় বসবাস করে আসছি। আমার স্বামী মিজানুর রহমান বিভিন্ন ধরণের ব্যবসার সাথে জড়িত, তিনি অতি চালাক ও চতুর প্রকৃতির মানুষ। আমাদের সংসারে নাবালিকা ২ (দুই) কন্যা সন্তান রয়েছে, তাদের নাম যথাক্রমে আয়েশা মরিয়ম ঐশী (১২) এবং মায়িশা মেহেরুন ঐফা (৯)।
তিনি বলেন, স্বামীর অমানবিক নির্যাতন কারণে তিনি আজ বেপর্দা এবং পরপূরুষের সম্মুখে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এসব অত্যাচারের প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আমার কন্যাদ্বয়। উলেখ্য গত ১১. মার্চ তার স্বামী , কন্যা আয়েশা মরিয়ম ঐশী (১২) উপস্থিতিতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম প্রহার করে বাসা থেকে এক কাপড়ে বের করে দেয়।
তিনি বলেন, কঠোর পরিশ্রমী সংগতকারণে স্বামীর সংসারে থেকেও চাকুরী, হাতের সেলাই, বিভিন্ন পন্য সরবরাহ করে অর্থ উপর্জন করে স্বামীর বিপদে আপদে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু স্বামীর সীমাহীন চাওয়া পাওয়ায় কাছে হেরেগেছেন।
আমার পরিবার পরিজনের কাছে স্বামীর সম্মান এবং ইজ্জত রক্ষায় কোন অভিযোগ করিনি। আমি সম্পদ অর্জণ করেছি, যা স্বামীকে উজাড় করে দিয়েছি। আমি আমার স্বামীর কাছে যা চেয়েছি তা সে দেয়নি। আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েও পাপ জেনে সেপথ গ্রহণ করিনি। আমি শুধুমাত্র আমার কন্যা সন্তানদেরকে বুকে জড়িয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমার স্বামী শারিরিক ও পাশবিক অমানবিক নির্যাতন করে। সংগত কারণে এই অমানুষের সাথে কোন অবস্থায় সংসার জীবন পরিচালনা সম্ভব নয় বিধায় ত ১৫ মার্চ এলিফ্যান্ট রোডস্থিত কাজীর মাধ্যমে তার স্বামীকে তালাক প্রদান করেছেন। #