দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণাকে প্রতারণা ও বিয়ের ফ্যাঁদে ছেলে সৌদিপ্রবাসীর প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম আসামি স্বর্ণাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক মনির হোসেনগণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত রোববার একদিনের রিমান্ড শেষে আসামি স্বর্ণাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত ১১ মার্চ অভিনেত্রী স্বর্ণাসহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সৌদিপ্রবাসী কামরুল ইসলাম। মামলার পরদিন স্বর্ণা, তার মা শেইলী, ছেলে আন্নাফিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে।
মামলার অভিযোগে বাদী কামরুল উল্লেখ করেন, তিনি রোমানার বাসায় কয়েক দিন অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল সৌদি আরবে চলে যান। সৌদি আরবে যাওয়ার পর প্রথম দিকে রোমানা বাদীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং তিনি রোমানাকে নিয়মিত সাংসারিক খরচ দিতেন।
চার-পাঁচ মাস পর বাদী কামরুল সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, রোমানা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকেন এবং দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে বাদী রোমানার পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তারাও তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। স্বর্ণার আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে ফ্ল্যাট ও গাড়ি বুঝিয়ে দিতে বললে সেসব নেই বলে বাদীকে জানান।
২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি আদালতে মামলা করেন কামরুল। মামলার পর স্বর্ণা টাকা, স্বর্ণালংকার, ফ্ল্যাট ও গাড়ি ফেরত দিতে চাইলে মামলাটি প্রত্যাহার করে সৌদি আরব ফিরে যান কামরুল। চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব থেকে কামরুল বাংলাদেশে এসে ফোন করলে লালমাটিয়ার বাসায় যেতে নিষেধ করেন স্বর্ণা।
১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে ফোন করলে স্বর্ণা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকেন। মোহাম্মদপুর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ও ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ওই বাসায় যান। বাসার সিকিউরিটি জানান, রাত আনুমানিক ২টা ৪০ মিনিটে স্বর্ণা বাসায় ফিরেছেন। পরে পুলিশ তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করেন।#
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।#