সর্বশেষঃ
সেবাগ্রহীতাদের সমস্যার সমাধান তাড়াতাড়ি করতে হবে : দুদক চেয়ারম্যান আজ ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলায় হাসিনাসহ ৩জনের বিরুদ্ধে রায়ের দিন  নির্ধারণ !  ৭ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ঘোষণায় ২৫ রাজনৈতিক দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষর নতুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দলিল জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ২৫ দলের ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষরে অংশ নেয়ার আহ্বান ড.ইউনূসের ছাত্র শিবির  বিজয়ী রাকসুতে ২৩টিতে- ২০, ডাকসুতে ২৮ টিতে- ২৩ , জাকসুতে ২৫টিতে – ২০, চাকসুতে ২৬টিতে – ২৪,  রাকসুতে ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস সাবেক সমন্বয়ক আম্মার আজ রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদে সকাল ৯ টায় ভোট গ্রহণ শুরু লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টারে সংঘর্ষ,যুবদলের দুই গ্রুপে ২০ জন আহত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা মির্জা ফখরুলের
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

সেলিম খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলার দুদকের

দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
প্রায় ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শাপলা মিডিয়া প্রযোজনা সংস্থার মালিক মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অনুসন্ধাকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় যে কোন সময় একটি মামলা দায়ের করবেন বলে জানা যায়। মামলায় তার বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত (অবৈধ) সম্পদ অর্জন এবং আরও প্রায় ৬৭ লাখ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হচ্ছে।

রোববার (৩১ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযুক্ত মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় একটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একটি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, শিগগিরই দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান বাদী হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলাটি দায়ের করবেন। তবে অভিযুক্ত সেলিম খান নানা ঘটনায় বেশ আলোচিত ও অস্বাভাবিক প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বেশ আলোচিত হয়েছেন।

দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনবলেন, অবৈধ সম্পদের অভিযোগে আজ রোববার সেলিম খানের বিরুদ্ধে একটি মামলার অনুমোদন হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি মূল্য দেখিয়ে ১৩৯টি উচ্চমূল্যের দলিল কারসাজির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করার অভিযোগ রয়েছে। ওইসব অভিযোগ নিয়ে দুদক পৃথক অনুসন্ধান করছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. সেলিম খানসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধা চলমান। তবে এই বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে পৃথক ভাবে আইনী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান দুদক সচিব।

দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সেলিম খান ও তার স্ত্রী শাহানারা বেগমের সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকে থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। এরপর তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেলিম খানের আয়কর বিবরণীসহ বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই শেষে তার পারিবারিক ব্যয়ের হিসাব পাওয়া যায় ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা ও ঋণসহ তার মোট আয় পাওয়া যায় ৬১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে আরও ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত (অবৈধ) সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় গেছে।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস অভিযুক্ত মো. সেলিম খানকে ৬০ দিনের জন্য বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। পরে পুনরায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বর্ধিত করা হয়েছে।

এছাড়া চলতি বছরের ৬ এপ্রিল দুর্নীতির মাধ্যমে অগাধ সম্পত্তি অর্জন বিষয়ে চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা’দাতের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়। অভিযানকালে দুদকের টিম চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মৌজায় চাঁদপুর-হাইমচর সড়কের পাশে মেঘনা নদী থেকে ৮০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জমি সরেজমিন পরিদর্শন করে।

গত ২১ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এই এপ্রিলের প্রথমে চাঁদপুরে অভিযান চালায় দুদক এনফোর্সমেন্ট। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি মূল্য দেখিয়ে ১৩৯টি উচ্চমূল্যের দলিল কারসাজির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করে ছিলেন। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় সেটা আর হয়নি।

যদি তিনি সফল হতেন তাহলে সরকারের অতিরিক্ত ৩-৪ শত কোটি টাকা লোকসান হতো। এছাড়া মেঘনা-পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন তিনি। এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। এই বিষয়ে দুদক পৃথকভাবে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12