দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। দেশের বিজ্ঞ,সাহসী ও সৎ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট করোনা আক্রান্ত অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনকে রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খন্দকার মাহবুবের চেম্বারের আইনজীবীরা গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার জুনিয়র অ্যাডভোকেট মো: মাসুদ রানার কাছে জানতে চাইলে খন্দকার মাহবুবকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেনের জুনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান দুলাল গণমাধ্যমকে জানান, ‘বুধবার সকাল থেকেই স্যারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বেলা সাড়ে ৫টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
গত ১৬ আগস্ট খন্দকার মাহবুব হোসেন করোনা পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রেজাল্ট এলে ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ল’ পাস করে ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর একই বছরের ২০ অক্টোবর তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ আইনজীবী।
চারবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং দুবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ৫৪ বছরের আইন পেশায় দেশের প্রথম সারির সব রাজনীতিবিদের মামলা পরিচালনা করেছেন এ আইনজীবী।
বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এছাড়া তিনি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক।
গত ৬ জুলাই কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দরিদ্র স্বপন কুমার বিশ্বাসের পক্ষে বিনা ফিতে আপিল বিভাগের আইনি লড়াই করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেন সিনিয়র এ আইনজীবী।#