দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
সিলেটের জৈন্তাপুরের মহিষ চুরি মামলার আসামি চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আবিদুল ইসলাম। ওই শিশুর বয়স ১৯ বছর দেখানো হয়েছে । এই ঘটনায় জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মো. সাহাব উদ্দিনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ অক্টোবর তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ওইদিন আবিদুলকেও আসতে বলা হয়েছে। আদালত তার কাছে সব ঘটনা শুনবেন।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবিদুলসহ এই মামলার ১০ আসামিকে আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আবিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত ‘শিখন স্কুল’ এর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। জৈন্তাপুরের খিলাতৈল এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুল বেপারী বৈধভাবে ২০টি মহিষ কিনে বাড়ি আনেন। কিন্তু বিজিবি সদস্যরা গত ১৩ সেপ্টেম্বর মহিষগুলো আটক করে নিয়ে যায়।
এরপর বিজিবির নায়েব সুবেদার সাহাব উদ্দিন জৈন্তাপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় আবিদুল, তার পিতা শফিক মিয়া, ভাই শামসুল হক, ভাবী রুনা বেগম, বোন শায়না বেগমসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
জামিনপ্রাপ্ত ১০ জন হলেন- সামছুল হক, শফিক মিয়া, সমিরুন নেছা, আবিদুল ইসলাম ওরফে আব্দুল, সাইদুল ইসলাম, শায়না বেগম, রুনা বেগম, সিদ্দিক মিয়া, ফয়জুর রহমান ওরফে কুটই এবং নাহিদ। #