ছবি সংগৃহিত
দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
হযরত শাহ জাজালাল বিমানবন্দর এলাকায় মামুন নামে এক শ্রমিককে অমানবিক নির্যাতন ও পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মোখলেছুর রহমান নামে এক আসামি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ওই আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
নিহত মামুনের বাড়ী দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার মোহনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মাজেদুল ইসলাম।
বুধবার (৭ এপ্রিল) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার পর আসামি মোখলেছুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে গণমাধ্যমকে আরো হানানো হয় গত ৬ এপ্রিল বিকেলে বিমানবন্দর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম আসামি মোখলেছুর রহমানকে আদালতে হাজির করেন।অআসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে ওই আদালতের বিচারক আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৫ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়ে সেখানে যাই। মামুন নামের ওই শ্রমিক বিমানবন্দরের ভেতরে একটি নির্মাণাধীন গ্যারেজে কাজ করত। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেছিলেন, ঘটনাস্থলে কিছু না পেয়ে হাসপাতালে নিহত মামুনের সহকর্মী ফাহিম ও ঠিকাদার ইকবাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ফাহিম স্বীকার করে মামুন ভবন থেকে পড়ে মারা যাননি। তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে।
ফাহিমের বরাতে এসআই কবির হোসেন জানান, তারা কয়েকজন বিমানবন্দরে কাজ করছিল। নিচে আরেক শ্রমিক লেলিন দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় মজা করতে গিয়ে উপর থেকে লেলিনের শরীরে বালি দেয় মামুন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। মামুন এক পর্যায়ে লেলিনের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে লেলিনের মাথা ফেটে যায়। পরে লেলিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে একত্রে বসে এটার সমাধানও করা হয়। কিন্তু দুপুরে মামুন বাসায় খেতে গেলে লেলিন তার বুকে-পিঠে-মাথায় আঘাত করে। এতে অচেতন মামুন হয়ে যায়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। #