দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুল বাসেত মজুমদার আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বাসেত মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে মেরুদণ্ডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে গত ২৩ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রবীণ এ আইনজীবী। ২৪ অক্টোবর তাকে নেওয়া হয় আইসিইউতে।
আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) আবদুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এক শোকবার্তায় আইনমন্ত্রী বলেন, আবদুল বাসেত মজুমদার ছিলেন একজন সৎ, নির্ভীক ও অভিজ্ঞ আইনজীবী। তিনি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবসময় সোচ্চার থেকেছেন। আদালতে গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য তিনি ‘গরিবের আইনজীবী’ নামে খ্যাত। আইনের শাসন ও মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অবদান ভুলবার নয়। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে এক বিরাট শূন্যতা তৈরি হলো।
মন্ত্রী তার শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রবীণ এ আইনজীবীর মৃত্যুতে পৃথক শোকবার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (বার) আইনজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন এবং সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এ শোক প্রকাশ করেন।
শোকবার্তায় বলা হয়, বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। দোয়া করি, আল্লাহ পাক তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এ শোক কাটানোর শক্তি দেন।
বেলা ১১টায় বনানী কেন্দ্রীয় মসজিদ, বাদ জোহর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, বাদ আসর নিজ গ্রাম কুমিল্লায় শানিচোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
‘গরিবের আইনজীবী’ হিসেবে খ্যাত আবদুল বাসেত মজুমদার আইন পেশায় ৫৬ বছর পার করেছেন।
১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসাম (বর্তমানে লালমাই) উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাসেত মজুমদার। বাবা আব্দুল আজিজ মজুমদার, মা জোলেখা বিবি। স্থানীয় হরিচর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক (এসএসসি) এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ (এইচএসসি) ও বিএ পাস করেন।
তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরের বছর ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।#