দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমাদের আইন, বিধিমালা, প্রবিধান সবই আছে। কোনো কিছুর কমতি নেই। অন্যান্য উন্নত দেশে যা আছে, আমাদেরও তাই আছে। কিন্তু সেসব দেশের সঙ্গে আমাদের একটা বড় ফারাক, আমাদের দেশে সেসবের বাস্তবায়ন হয় না।
তিনি বলেন, করপোরেশনের নিবন্ধন ব্যতীত নতুন কোনো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডিএসসিসি এলাকায় পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। সুনির্দিষ্টভাবে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে নগরবাসীর জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সারা দেশে চিকিৎসা বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতালের অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু আইন অনুযায়ী করপোরেশন এলাকায় বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর করপোরেশনের অনুমতি নিতে হয়।
এ সময় মেডিক্যাল প্রাকটিস ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স ১৯৮২ এ অবকাঠামোগত কোনো নির্দেশনা না থাকায় মর্মাহত হয়েছেন জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, জনবল নিয়ে সেখানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে।
কিন্তু সেসব হাসপাতাল-ক্লিনিকের বর্জ্য কিভাবে ব্যবস্থাপনা হবে এবং সেসব ব্যবস্থাপনায় তাদের অবকাঠামোগত কী কী বিষয়াবলী নিশ্চিত করতে হবে-সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। তাহলে মেডিক্যালে বর্জ্য কিভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে?
তিনি স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ১১২ ধারা উল্লেখ করে বলেন, করপোরেশন এলাকায় করপোরেশনের নিবন্ধন ব্যতীত কোনো প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউট ইত্যাদি পরিচালনা করা যাবে না। আমরা আইনের বাস্তবায়ন করতে চাই।
আজ পর্যন্ত বেসরকারি কোনো হাসপাতাল-ক্লিনিক করপোরেশনের কোনো নিবন্ধন নেয়নি। আমরা এ বিষয়ে এরই মাঝে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেজন্য একটি বিধিমালা করব, প্রবিধান করব।
সেখানে সুনির্দিষ্টভাবে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় করণীয় উল্লেখ থাকবে, কী কী অবকাঠামো তাদের থাকতে হবে সেটাও উল্লেখ থাকবে। ১০ শয্যা হোক, ১০০ শয্যা হোক, ৫০০ শয্যা হোক, কোনটায় কী কী বিষয় তাদের মানতে হবে, এ বিষয়গুলো তুলে ধরে আমরা তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে চায়। #