দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, তার এলাকায় বিনা অনুমতিতে আবাসন প্রকল্প করা যাবে না।
বুধবার( ২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএসসিসির ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরখালী এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে কর্পোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ ও দক্ষিণ সিটির ৬ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই নির্দেশ দেন।
ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, মো. খায়রুল বাকের, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিএসসিসি মেয়র আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সম্পত্তি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, কর্পোরেশনের অনুমোদন বিহীন সকল ‘গৃহায়ন প্রকল্প’ বন্ধ করুন। এসব প্রকল্প বন্ধ, বন্ধ, বন্ধ।
সাপ্তাহিক পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আজ সকাল থেকে নৌকায় করে ত্রিমোহিনী গুদারাঘাট হতে দাসেরকান্দি, বালু নদীর পাড়, কায়েতপাড়া বাজার, ইদেরকান্দি ও ফকিরখালী এলাকা ঘুরে দেখেন।
পরে ফকিরখালী এলাকার অনেকাংশ ঘুরে দেখেন, স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন। এর পর দুপুরে ত্রিমোহনী বাজারে পৌঁছে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা সরেজমিন দেখলাম যে, এখানে কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিনা অনুমতিতে জমি দখল করছে। যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে তারা আবাসন করছে। যেখানে মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে। এই এলাকার জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েও কূলকিনারা পাচ্ছে না, ফল পাচ্ছে না।
তিনি বলেন,’আমরা এরই মধ্যে আমাদের সম্পত্তি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি যে, এখানে ড্রেজিং (খননকাজ) বন্ধ করতে হবে। এখানে যত্রতত্র বিনা অনুমতিতে হাউজিং করা যাবে না। প্রয়োজন হলে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানের যান, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামাদি আমরা বাজেয়াপ্ত করব।’/ প্রেস বিজ্ঞপ্তি