দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
পালিয়ে দেশের বাইরে আত্মগোপনে থেকে অনলাইনে জামিন আবেদন করায় সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হকের আইনজীবীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা তাদের পক্ষে আদালতে দাঁড়িয়ে আইন ও নৈতিকতার পরিপন্থী কাজ করেছেন।
সোমবার (২০ জুলাই) বিচারপতি আশরাফুল কামালের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের জামিন আবেদন খারিজ করে এ মন্তব্য করেন।
আদালতে সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন ও অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
আদালত আদেশে বলেন, শুনানিতে এটা কাচেঁর মতো স্পষ্ট যে, এ মামলাটি আইনের বিধি-বিধান এবং এখতিয়ার বহির্ভুতভাবে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আবেদনকারীরা বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মাধ্যমে বিধি বহির্ভুতভাবে দরখাস্ত আদালতে দাখিল করতে সক্ষম হয়েছেন। এতে তাদের সক্ষমতা অনুমেয়।
আইন আদালতকে সংবিধান ও আইনের বিপরীতে চালানোর প্রচেষ্টা সুস্পষ্ট। কিন্তু জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা দরখাস্ত দাখিল করে এর পক্ষে আদালতে দাঁড়ানো, যেমনই আইন পরিপন্থী, তেমনি নৈতিকতার পরিপন্থী।
আদালত আরও বলেন, বাংলাদেশের সব আইনের ছাত্র, শিক্ষক, অ্যাডভোকেটরা, বিচারকরা এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে আমি আহ্বান জানাবো, আপনারা মোকদ্দমা দাখিল এবং এর পক্ষে দাঁড়ানো অ্যাডভোকেটদের আয় ও নৈতিকতার যুক্তি চুলছেড়া বিশ্লেষণ করবেন।
বেআইনি ও নৈতিকতাবিহীন এ মোকদ্দমা গ্রহণ না করাই ছিল এ আইনজীবীদের দায়িত্ব। সেই আলোকে এ দরখাস্তকারীদের বেআইনি দরখাস্ত অর্থ জরিমানসহ নিষ্পত্তি করলাম।
বেআইনি দরখাস্ত দাখিল এবং সিনিয়র আইনজীবীদের বাধ্য করে শুনানিতে আনার জন্য আবেদনকারীদের ১০ হাজার পিপিই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে রোববার (১৯ জুলাই) সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারকে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন আবেদন করেন। # কাশেম