দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
শিক্ষা হলো সবার অধিকার , এটিই হোক মহান শিক্ষা দিবসের প্রত্যাশা মন্তব্য করে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক। তিনি বলেছেন, এই মুহুর্তে প্রয়োজন সার্বজনীন মতামতের ভিত্তিতে একটি শিক্ষা নীতি প্রনয়ন করা যাতে শিক্ষা হবে সবার জন্য অবারিত।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলন স্মরণে ৫৮তম শিক্ষা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক স্তরে বাংলা-ইংরেজী-আরবী ভাষা ও যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগ শিক্ষার দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত মাববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা দিবসের ৫৮ বছরেও ছাত্রসমাজের সার্বজনীন শিক্ষার আকাঙ্খা পুর্ণ হয়নি। সারাদেশেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চশিক্ষা সর্বস্থরেই চরম নৈরাজ্য চলছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিলের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদের সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল, ন্যাপ-ভাসানী সভাপতি মোসতাক আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জাসদ মহানগর দক্ষিন যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন কবির, বিশিস্ট রাজনিতিক সিদ্দিকুর রহমান, নারী নেত্রী এলিজা রহমান প্রমুখ।
সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, যা অনিবার্য পরিণতি রূপে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, তেমনিভাবে বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রসমাজ সর্বগ্রাসী শিক্ষা সঙ্কট উত্তরণে রচনা করছে ছাত্র গণআন্দোলন। যা বেগবান করছে সমাজ বিপ্লবের লড়াই।
তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্য চলছে। হু হু করে বাড়ছে বেসরকারী কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ, যেখানে পড়তে প্রয়োজন প্রচুর অর্থ। যেখানে দেশের অধিকাংশ মানুষের সন্তানদেও পড়ানো অসম্ভব। অর্থাৎ গরীব মানুষের সন্তানদের পড়ানোর প্রয়োজন নেই। যার টাকা আছে, শিক্ষা কেনার সামর্থ্য আছে সেই পড়তে পারবে। শিক্ষা আলু পটলের মত একটি পণ্যে পরিণত করা হয়েছে। এ যেন শরীফ কমিশনের , আইয়ুবের শিক্ষানীতির প্রতিধ্বনি !
লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেন, ১৯৬২’র শরীফ শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন ,পরবর্তী সময়ে ১৯৬৬’র হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী ও ছয় দফার আন্দোলন , ১৯৬৯-এর নুর খান শিক্ষা কমিশন ও গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় গভীর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এ শিক্ষানীতির প্রতিবাদ ও আন্দোলনগুলো। সেদিন বাংলার ছাত্রসমাজই পালন করেছিল নতুন ইতিহাস নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ জলিল বলেন, বিজয়ের ভেতর দিয়ে বাষট্টির গৌরবোজ্জ্বল ছাত্র আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। ১৯৬৩ সাল থেকে ছাত্রসমাজ ১৭ সেপ্টেম্বর দিনটিকে প্রতিবছর ‘শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। স্বাধীনতার আগে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে ‘শিক্ষা দিবস ’ পালিত হতো। স্বাধীনতার পর দিনটি ধীরে ধীরে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাচ্ছে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।