দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সারাদেশে দুদক ১৮টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে খুলনা জেলা পরিষদের সিডিউল বিক্রি, খেয়াঘাট ইজারা ও ভ্রমণ ভাতার অর্থ বেআইনিভাবে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি আরো জানান, অভিযানকালে দুদক টিম জেলা পরিষদের প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে সিডিউল বিক্রির ২৩ লাখ টাকা, মহেশ্বরপাশা খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ২০ লাখ টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের টিএ বিল বাবদ ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পায়।
এ বিষয়ে উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার এর সভাপতিত্বে ০৩ সদস্যের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে মর্মে টিম জানতে পারে। সার্বিক বিবেচনায় উল্লিখিত অফিস সহকারীর ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশ করে টিম কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।
এছাড়া যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট প্রদানে হয়রানির অভিযোগে, সিরাজগঞ্জে বেআইনিভাবে সরকারি অর্থে সেতু নির্মাণ এবং সড়ক নির্মাণে নিুমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগে, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে হাসপাতালে যথাযথভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান না করে হয়রানির অভিযোগে এবং ঘুষের বিনিময়ে ভুয়া দলিল রেজিস্ট্রি করার অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনা এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী হতে ৫টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে হটলাইন- ১০৬ আগত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদানের অভিযোগে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগে এবং নদী দখল করে বালু উত্তোলনের অভিযোগে লালমনিরহাট, বাগেরহাট এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও মাঠপর্চার ফটোকপি প্রদানে ঘুষ আদায়ের অভিযোগে এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলে অনুপস্থিত ও শিক্ষার্থীদের ক্লাশ না করানোর অভিযোগে ইউএনও, কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ এবং ইউএনও, শিবচর, মাদারীপুর বরাবর পত্র প্রেরিত হয়েছে।
অফিসে অনুপস্থিত থেকেও বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগে, নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, নেত্রকোণা বরাবর, ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা সৃজনপূর্বক হাসপাতালে চাকুরি গ্রহণের অভিযোগে সিভিল সার্জন, দিনাজপুর বরাবর, কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বন্দীদের নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রাানির অভিযোগে আইজি প্রিজন, ভোলা বরাবর, পণ্য পরিবহনে গেট পাশ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বরাবর এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। # কাশেম