দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নুরুল আমিনের মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে প্রায় ২৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ, ১৩ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং অর্থপাচারের অভিযোগে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক সচিব নুরুল আমিন দেশের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলার ফাঁসির দÐপ্রাপ্ত আসামি। সোমবার (১৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ বিভাগ।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক বাদী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত ১২ নভেম্বর মামলা দুটি দায়ের করেন। মামলা দুইটি দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২ ও ৩) ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার বাদী জানান,প্রথম মামলায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নুরুল আমিনের মেয়ে মিসেস ফারাহ শারমীনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ২২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৫ কোটি ৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন অভিযোগ আনা হয়েছে। এরআগে দুদকের নোটিশ মোতাবেক তিনি ৮ কোটি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৩৫ টাকার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেছিলেন।
অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় নুরুল আমিনের মেয়ের জামাতা সৈয়দ এজাজ ইসলামের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৭২ লাখ ২ হাজার ৫৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ২১ কোটি ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৭১১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরআগে দুদকের নোটিশ মোতাবেক তিনি ২৮ কোটি ৮৭ লাখ ১ হাজার ৮৫২ টাকার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালানের ঘটনায় দুই মামলায় চট্টগ্রামের একটি আদালতে রায় হয়। দুটি মামলার মধ্যে একটিতে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদÐের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
চোরাচালানের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫২ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে এই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা এই মামলায় একই সঙ্গে এদের পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। আর অস্ত্র আইনে করা মামলায় এই ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেয় আদালত। এই মামলায় আসামী ছিলেন ৫০ জন। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নুরুল আমিন, অস্ত্র বহনকারী ট্রলারের মালিক হাজি সোবহান, চোরাকারবারি হাফিজুর রহমান এবং অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দ্বীন মোহাম্মদ। এদের মধ্যে পরেশ বড়ুয়া ও নুরুল আমিন পলাতক।# কাশেম