দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলা আগামী এক বছরের মধ্যে বিচারিক আদালতে শুনানি করে নিষ্পিত্তির নির্দেশনাসহ রায় প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের রায়ে আসামীর পক্ষ থেকে দুদকের দায়েরকৃত মামলাটি বাতিলের আবেদনের ওপর আগের জারি করা রুল খারিজের আদেশ দিয়েছেন।
হাইকোর্টের এ রায় ও নির্দেশনার ফলে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদের মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলবে। উচ্চ আদালতের রায়ে ১২ বছরের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে মামলাটি বিচারিক (নি¤œ) আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ রয়েছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বে নির্দেশনাসহ এ রায় ঘোষনা করেন। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক ।
তিনি বলেন, গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টের একই বেে এ মামলার শুনানি শেষ করা হয়। এরপর এ বিষয়ে আরও শুনানি ও আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হলো। সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার দীর্ঘ ১২ বছর ধরে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিচার শুরুর জন্য বিষয়টি সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে উত্থাপন করে। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা বিচার কার্যক্রম সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সদর থানায় দুলুর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ওই বছরই চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এরপর মামলাটি বাতিলের আবেদন জানালে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে রুলও জারি করেন। সেই থেকে বন্ধ ছিল মামলাটির বিচার কার্যক্রম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানান, দীর্ঘদিন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে মামলাটির বিচার কাজ বন্ধ ছিল। বিচারের পথ খোলার জন্য বিষয়টি হাইকোর্টে উত্থাপন করা হয়। হাইকোর্ট মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী শুরু হয় শুনানি। দীর্ঘদিন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে মামলাটি বিচার বন্ধ ছিল। আজ সোমাবার) এই রায়ের ফলে মামলাটি সচল হলো। #