দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের বিনিময়ে ড্রাইভিং কোর্সে ভর্তি করানোর অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ ও কোর্ট পরিদর্শক বিজন কুমার রায়ের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য ।
তিনি আরো জানান, দুদক টিম অভিযানকালে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কৃতকার্য ব্যক্তিকে বাদ দেয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।
এমনকি সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অটোমোবাইল ড্রাইভিং কোর্সের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীকে অকৃতকার্য দেখিয়ে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়নি। ভর্তি সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে টিম কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।
দুদক কর্মকর্তা আরো জানান, এদিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলাধীন বাগবাড়ীয়া থেকে মধ্যপাড়া পর্যন্ত ১ কিমি রাস্তার কাজে নিম্ন মানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে আজ দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে দুদক টিম নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের সত্যতা পাওয়া যায়। উক্ত কাজের ঠিকাদারকে নিম্ন মানের ইটের পরিবর্তে টেন্ডারে উল্লিখিত মানসম্পন্ন ইট প্রতিস্থাপনের নির্দেশনা দেয় দুদক টিম।
এছাড়াও, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় ঢাকা; সাতক্ষীরা ভূমি অফিসের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জাল কাগজপত্র সৃজনপূর্বক একজনের জমি অন্যের নামে মিউটেশন করে দেয়ার অভিযোগে দুদক খুলনা জেলা কার্যালয় থেকে আরও ০২ টি অভিযোন পরিচালনা করে দুদক।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশনকে অবহিত করার নিমিত্ত জেনারেল ম্যানেজার-পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, নেত্রকোনা; প্রধান বন সংরক্ষক-লাকসাম, কুমিল্লা; জেনারেল ম্যানেজার-পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, গাজীপুর; মহাপরিচালক-স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; মহাপরিচালক-বাংলাদেশ রেলওয়ের এবং প্রধান প্রকৌশলী-সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা বরাবর পত্র প্রেরণ করেছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। # কাশেম