দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিককরা সমাবেশ করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) চত্বরে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।
অন্যান্যের মাঝে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইজের একাংশের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, অপরাংশের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, শাহেদ চৌধুরী, ডিইউজের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, অপরাংশের সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সহ সভাপতি নজরুল কবীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, রাজু আহমেদ, ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান, নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, কার্যনির্বাহী সদস্য মঈনুল আহসান, আহমেদ মুশফিকা নাজনীনসহ সাবেক নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে সাগর সরওয়ারের মাতা মোবাইলের মাধ্যমে অডিও কলে বক্তব্য রাখেন। তিনি তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান। সমাবেশে উপস্থিত সকলেই কালো ব্যাচ ধারণ করে হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম মিজান, সায়ীদ আবদুল মালিকসহ সংগঠনের সিনিয়র সদস্যসহ সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনীকে হত্যা করা হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হত্যাকান্ডের পর আট বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের আজও শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। অবিলম্বে চা ল্যকর এই মামলার খুনীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন তারা।
সভাপতির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, ডিআরইউ তার সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতেই কাজ করে। আমরা আশা করেছিলাম যে, সাগর রুনীর হত্যাকারীরা বিচারের আওতায় আসবে। তাদের পরিবারসহ সাংবাদিক সমাজ ন্যায় বিচার পাবে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য এখন পর্যন্ত কাউকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিচারের আওতায় আনতে পারেনি।
আমি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলবো, আপনি এখনই নির্দেশ দেন, যাতে করে সাগর রুনীর হত্যাকারীরা ধরা পড়ে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করে এই নারকীয় হত্যার বিচার করুন। অন্যথায় সকল সাংবাদিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে আমরা আবারো বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।
এসময় তিনি বলেন, সাগর রুনী হত্যার বিচারের দাবিতে আগামী ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। একইসাথে বিচারের দাবিতে ডিআরইউর সদস্যদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীকে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় হত্যা করা হয়। পরের দিন রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। চারদিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু গত আট বছরেও মামলার তদন্তে অগ্রগতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি #