দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য ও দৈনিক আমাদের কণ্ঠের ক্রাইম রিপোর্টার রাজু আহমেদকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার নিজ বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের ছেলে মেঝু ভুইয়াগং।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রাজুর বাড়ী নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামে। জানা যায়, সাংবাদিক রাজু আহমেদের ভাগিনা মিরাজকে পারিবারিক জেরে বেধরক মারধর করে মিরাজেরই আপন চাচা জমির আলী ও দাদা জোহর আলী। এতে গুরুতর আহত হয় মিরাজ।
পরে সাংবাদিক রাজু আহমেদ তার ভাগিনা মিরাজকে তাৎক্ষনিকভাবে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পারিবারিক ও সামাজিক বিচার না পেয়ে ঘটনা বিষয়ে থানায় অভিযোগ করায় ভাগ্নেকে পরামর্শ দেয় সাংবাদিক রাজু। পরামর্শের কথাটি জানতে পেরে মিরাজের চাচা জমির আলী ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের ছেলে স্থানীয় ত্রাস মেঝু ভুইয়াকে দিয়ে সাংবাদিক রাজু আহমেদকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং এক পর্যায়ে মেঝু ভুইয়া তার দলবল নিয়ে রাজুকে তার নিজ বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে।
তখন প্রাণে বাঁচার জন্য রাজু দৌঁড়ে পালিয়ে রাস্তার পাশে মানুষের ভিরে এক দোকানে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ, স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাড়িতে ফিরেন সাংবাদিক রাজু ।
এ ঘটনায় ২ মে রাজু আহমেদ ৩ জনের বিষয় সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এতে মেঝু ভুইয়া আরো ক্ষিপ্ত হয়ে রাজুকে মারতে দলবল নিয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয়।
রাজু জানান, শুধু তাই নয়, উল্টো তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করার চেষ্টা করছে। থানা পুলিশ মিথ্যা মামলায় তদন্তেও এসেছিল।
রাজু জানান, রাজধানী ঢাকায় আমি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। করোনাভাইরাস জনিত সংক্রমণ পরিস্থিতি এড়াতে আমি আমাদের সোনারগাঁও বাড়িতে এসেছি। এসে লকডাউন জনিত কারণে বাড়িতে অবস্থান করছি। এমতাবস্থায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চিন্হিত সন্ত্রাসীদের কারণে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত হচ্ছে।
রাজু জানান, এখানে পিতার কর্মসূত্রে জায়গা কিনে বাড়ি করে আমরা বসবাস করছি। আমাদের স্থানীয় বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। এখানকার স্থানীয় না হওয়ায় ওরা আমার ওপর এ অন্যায় আচরন করছে।
রাজু বলেন, আমি ঢাকায় ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে পত্রিকায় সাংবাদিকতা করি তাই ওরা একধরনের চাপ তৈরি করছে যেন আমি ভয় পাই এবং এলাকা ছেড়ে চলে আসি। আমার ধারণা, তাদের বিভিন্ন সমাজ বিরোধী কার্যক্রম নিয়ে নিউজ করব এ আশংকায়ও তারা একটা তুচ্ছ ঘটনাকে পূঁজি করে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন। নইলে অন্যায়ভাবে এরূপ পরিস্থিতি কেন করবেন তারা ?
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি অবহিত আছেন বলে রাজু জানান।
রাজু জানান, এ সন্ত্রাসী বাহিনীর অবৈধ প্রভাবে এখানে সাধারণ মানুষও জিম্মি। ওদের ভয়ে অনেকে মূখ খুলেন না। সত্য বলতে ভয় পান।
রাজু জানান, এখন সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি বিষয়ে সংসদ সদস্যকে অবহিত করার চেষ্টা করছি। তাকে মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
এদিকে সাংবাদিক রাজু’র ওপর হামলার চেষ্টা ও তাকে হয়রানির অপচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজ ) সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাসস এর সিনিয়র রিপোর্টার দিদারুল আলম দিদার। সাংবাদিক রাজুর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িতদের বিষয়ে সঠিক তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দিদার বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশ ও বিশ্ব এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশে চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত কয়েক হাজার।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে নিরলস কাজ করে চলেছেন চিকিৎসক, পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যু ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম কঠোর হস্তে পুলিশ দমন করবে এটাই প্রত্যাশা। #