দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
সরকারের সুনির্দিষ্ট দু’টি দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দুদকে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে সৈয় মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা দেন। এ সময় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু তার সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের আসা খবরে দুদকের প্রধান কার্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়। পুলিশের দু’টি ইউনিট দুদক কার্যালয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন দল ও সরকার দুর্নীতি করছে দাবি করে তা তদন্তে দুদকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
এর পরপরই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপির প্রতিনিধি দল।এর আগে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রতিনিধি দলটি দুদকে প্রবেশ করেন।
সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দুদক সচিবের কাছে চিঠি হস্তান্তর করেন। এরপর বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান দুর্নীতির উৎসব চলছে। আমরা দুর্নীতির বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। তিনি আরও বলেন, দুদকে নিয়োগ দেওয়া হয় বেশিরভাগ সরকারি আমলাকে। অথবা সাবেক আমলাদের। তারা চেষ্টা করেন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ রাখার।
দুর্নীতি বাংলাদেশে ক্যান্সার আকারে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না, কেউ কথা শুনে না, আইন-আদালতে বিচার পাবেন না। এর কারণটা হচ্ছে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে দুর্নীতিকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।
এরআগে সোমবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনারা (গণমাধ্যম) এই সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির খবর পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেল এবং নিউজপোর্টালে প্রকাশ ও প্রচার করছেন। এই সাহসিকতার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ দিতেই হয়।
কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত এসব দুর্নীতির খবরের ওপর ভিত্তি করে দুদক কোনো অ্যাকশনে যায়। এমনটি আমাদের (বিএনপি) চোখে পড়ে না। বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় দুদকের একজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং হেনস্তা করার ঘটনা ঘটেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, তারপরও একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং প্রচারিত দুর্নীতির খবরগুলো যাচাই-বাছাই করে দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেব। এতে কোনো লাভ হবে কিনা জানি না।
তবে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এই কাজটা করতে চাই। আমাদের দলের যুগ্ম মহাসচিব সেয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ একটি প্রতিনিধি দল দুর্নীতির অভিযোগগুলো নিয়ে দুদকে যায়। #