দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন -৩ (র্যাব) এর কর্মকর্তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের ফলাফল জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা মাসুম রানা রনি ও সহকারী মোঃ আব্দুর রহিম সাদেককে আটক করেছেন।
বুধবার (২২ জুলাই) র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি র্যাব-৩, টিকাটুলি ক্যাম্প কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সংঘবদ্ধ কয়েকটি প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নাম দিয়ে ফেক আইডি খুলেছে। তারা অর্থের বিনিময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় যারা অকৃতকার্য ও কম নাম্বার পেয়েছে তাহাদের কৃতকার্য করাসহ নাম্বার বাড়িয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছে।
এই অপরাধী চক্রের প্রলোভনে পড়ে বেশ কয়েকজন ছাত্র -ছাত্রী বিকাশে উক্ত প্রতারক চক্রকে টাকা প্রদান করেছে। পরে তারা বুঝতে পারে যে,তারা প্রতারনার শিকার হয়েছে। বিষয়টি কলেজের ছাত্র -ছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ র্যাব-৩, টিকাটুলি ক্যাম্প বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে র্যাব-৩ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ২১জুলাই দিবাগত রাত ১১ টায় বি-বাড়িয়া জেলার বি-বাড়িয়া থানাধীন ডিসিএসপি রোড কলেজপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে।
ওই সময় র্যাবের কর্মকর্তারা আসামী ১) মাসুম রানা রনি (২৪), পিতা-মোঃ সাদেক মিয়া, জেলা-বি-বাড়িয়া এবং আসামী ২) মোঃ আব্দুর রহিম সাদেক (২২), পিতা-মোঃ বাচ্চু মিয়া, জেলা-হবিগঞ্জদ্বয়কে গ্রেফতার করেছেন। এই আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৩ টি মোবাইল ফোন, ১টি ল্যাপটপ, নগদ ১ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, আসামীদ্বয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় যাহারা অকৃতকার্য ও কম নাম্বার পেয়েছে তাহাদের কৃতকার্য করাসহ নাম্বার বাড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছেন। তারা নানা নামে দিয়ে ফেক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করেছে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি।