দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সরকারি ত্রাণ কিংবা সহায়তার দাবিতে বাংলাদেশ অটোরিক্সা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফোডরেশনের উদ্যোগে পরিবহন শ্রমিকদের এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই শ্রমিকদের বাঁচাতে এবং আগামীদিনের অর্থনীতির সচল রাখার জন্য পরিবহন শ্রমিকদের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে তাদের পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের পূর্বে খাদ্যসহ নগদ অর্থ সহায়তাদানের দাবি জানান।
শনিবার ( ৯ মে ) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা জামিরুল ইসলাম ডালিম, শাহিন রেজা, দপ্তর সম্পাদক হুমায়ুন মুজিব, মহানগর সদস্যসহ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মরনঘাতি করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী যখন আতঙ্কগ্রস্ত এবং লকডাউনের শিকার তখন বাংলাদেশের পরিবহন শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অথচ পরিবহন শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালনের ভূমিকা পালন করে থাকে। দীর্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এই শ্রমিকদের সহায়তায় প্রশাসন এগিয়ে আসেনি।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অনাহারী পরিবহন শ্রমিকদের তালিকা প্রণয়ন করে জেলা প্রশাসক বরাবর পেশ করা হলেও প্রশাসন থেকে আজ অব্দি কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। অথচ এই পরিবহন শ্রমিকরা বিভিন্ন ক্রান্তিকালে সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এবং অসহায়-দরিদ্র মানুষের তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে সহায়তাদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু আজকে দু’মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবহন শ্রমিকদের কেউ খোঁজ রাখেনি। আজকে পরিবহন শ্রমিকরা অনাহারে-অর্ধাহারে ছেলে মেয়েদের নিয়ে কষ্টের মধ্যে জীবন-যাপন করছে। তাই এই শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে সরকারি সহায়তার কোন বিকল্প নেই।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, বিভিন্ন অসহায়-দরিদ্র মানুষদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকার খাদ্যসহ নগদ সহায়তা প্রদান করছে। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকদের এ পর্যন্ত কেউ কোন সহায়তা প্রদান করেনি। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।