দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) আ ন ম আল ফিরোজ বলেছেন, একটি সরকারি দপ্তরের এক কর্মকর্তার মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে ঘুষের টাকা গ্রহণের তথ্য আছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্ট (এসটিআর) দুদকে দেয়নি জানান তিনি। আর এই বিষয়টি সত্যই উদ্বেগজনক।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুদক প্রধান কার্যালয়ে মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজের সভাপতিত্বে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসমূহের (এমএফএস) নির্বাহীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি আরো জানান, বৈঠকে সরকারি ওইসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য ভান্ডার থেকে আর্থিক লেনদেনের রিয়েল টাইম তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কৌশল নির্ধারণের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়।
সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী, দুদকের ফোকালপয়েন্ট কর্মকর্তা ও সিস্টেম এনালিস্ট রাজীব হাসান, রকেটের এসইভিপি আবেদুর রহমান সিকদার, ডাকবিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ হারুনুর রশীদ প্রমুখ ।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নির্দেশনা উদ্ধৃতি দিয়ে মহাপরিচালক দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট এক রিপোর্টের মাধ্যমে ওইসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি সন্দেহজনক লেনদেনে সম্পৃক্ত থাকেন তা অবশ্যই দুদককে জানাতে হবে।
দুদক মহাপরিচালক আরো বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে এমএফএস একাউন্টের সকল ধরনের ক্যাশ ইন / ক্যাশ আউটের ডিজিটাল মানি রিসিটের বিস্তারিত তথ্য দুদকের অনুসন্ধান বা তদন্তের প্রয়োজনে সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে।
একই সার্কুলারে মাধ্যমে এমএফএস সমূহের গ্রাহক এবং লেন-দেনের তথ্য ভান্ডার থেকে দুদককে রিয়েল টাইম তথ্য প্রদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে এবং একাধিক একাউন্টের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেনরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়েও পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া দুদক আইন,২০০৪-এর মাধ্যমেও এ জাতীয় তথ্য পাওয়ার আইনি অধিকার দুদকের রয়েছে।
এ বিষয় বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-এর প্রতিনিধি মোঃ আজমল হোসেন জানান, ঘুষ সংক্রান্ত কোনো এসটিআর থাকলে তা অবশ্যই দুদক-কে জানানো হবে।
এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের যে কোনো সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেলে দুদককে জানানো হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, সম্প্রতি একজন সরকারি কর্মকর্তার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য তারা দুদককে জানিয়েছেন।
দুদক মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ বলেন, এমএফএস প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব ডাটাবেজ থেকে এ্যাপলিকেশন ইন্টারফেস এর মাধ্যমে গ্রাহক লেনদেনের তথ্য দুদকে দিতে হবে।
এসব মাধ্যমে যেসব ঘুষের লেনদেন হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে দুদক আইনি দায়িত্ব পালন করবে। দুদক অর্থের গতিবিধি অনুসরণ করবে( ফলো দ্য মানি)। ব্যক্তির অবস্থান চিহ্নিত করে, অপরাধীদের আইন-আমলে নিয়ে আসবে।
এসময় নগদের প্রতিনিধি মোঃ সাফায়েত আলম – দুদককে এ জাতীয় তথ্য প্রদানে তাদের সম্মতির কথা জানান।
বিকাশ এবং রকেটের প্রতিনিধি আগামী এক সপ্তাহেরা আরো জানান ইতোমধ্যেই দুদককে তথ্য প্রদানের জন্য তারা ফোকালপয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। দুদক যে কোনো তথ্য চাইলেই তারা তা এখনই দিতে পারেন। # কাশেম