ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে আটক যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে মদ-ইয়াবা, অস্ত্র-গুলিসহ বহু সামগ্রী উদ্ধার করেছে র্যাবের একটি দল। রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই অভিযান শেষ হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
রোববার দুপুরে সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইল কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে র্যাব। কয়েক ঘণ্টার অভিযান শেষে কার্যালয় থেকে র্যাবের একটি গাড়িতে করে সম্রাটকে নিয়ে যাওয়া হয়।
যে অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান শেষে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ক্যাঙ্গারুর চামড়া, পাঁচ রাউণ্ড গুলিসহ একটি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ ও কয়েক’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বহু আলোচনা ও উৎকণ্ঠার পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। যাকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। এরই মধ্যে জানা গেছে, সম্রাটের তিনজন স্ত্রীর খবর। যাদের মধ্যে একজন সিঙ্গাপুরের নাগরিক বলেও নিশ্চিত করেছে তার পারিবারিক সূত্র।
জানা যায়, বাংলাদেশী দুই জন স্ত্রীর মধ্যে ১ম পক্ষের স্ত্রী বাড্ডায় থাকেন। এ সংসারে সদ্য পড়াশুনা শেষ করা সম্রাটের এক মেয়ে রয়েছে। তবে সম্রাট ১ম স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন না। তিনি থাকতেন দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে মহাখালীর ডিওএইচএস’র বাসায়। এ সংসারে তার একমাত্র ছেলে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
এদিকে গত দুই বছর ধরে মহাখালিস্থ ২য় স্ত্রীর বাসায়ও যাতায়াত বন্ধ করেন সম্রাট। এসময়ে তিনি কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে নিজ কার্যালয়ে থাকতেন। তবে গাড়ি চালকের খরচসহ পরিবারের সব খরচ দিতেন তিনি।
অন্যদিকে সম্রাটের সিঙ্গাপুরের নাগরিক স্ত্রীর বিষয়ে নিশ্চিত করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন। তিনি জানান, মেয়েটি তারও বন্ধু ছিল, পরে সম্রাটের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা হয়।
এছাড়া সম্রাটের রয়েছে আরও দুই ভাই। এক ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। আরেক ভাই সম্রাটের ক্যাসিনো ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। সম্রাটের মা ভাইদের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন। সম্রাটদের গ্রামের বাড়ি ফেনীতে।