দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করতে হবে।
আজ শনিবা (১০ই জুলাই) সকালে গুলশান-২ এর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্ক সংলগ্ন ৮৬ নম্বর রোড এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ৮ দিনব্যাপী মশক নিধনে চিরুনী অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব আজ করোনা মহামারীর মধ্যে রয়েছে। এই করোনাকালে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কারও মৃত্যু না হয়, সেজন্যই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে ১১ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত ৮ দিনব্যাপী মশক নিধনে চিরুনী অভিযান পরিচালিত হবে।তিনি বলেন, রোদ-বৃষ্টির মিশেল আবহাওয়া এডিস মশার বংশ বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেককে দায়িত্ববান হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তারকে রোধ করতে হবে। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান “তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন”।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, “সবার ঢাকা” মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে যে কোন নাগরিক অতি সহজেই এলাকার রাস্তা, মশক, সড়ক বাতি, আবর্জনা, জলাবদ্ধতা, পাবলিক টয়লেট, নর্দমা ও অবৈধ স্থাপনা এই আটটি বিষয়ে সরাসরি তার মতামত কিংবা অভিযোগ ডিএনসিসির কাছে তুলে ধরতে পারছেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই উক্ত সমস্যার সমাধানও পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি এলাকার যেসকল ডেঙ্গু কিংবা চিকুনগুণিয়া রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সেই তথ্য ডিএনসিসিতে সরবরাহ করা হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর বাড়ি ও তার আশপাশে মশার ঔষধ স্প্রে করা হবে।উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সরকারী কিংবা বেসরকারী যেকোন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়সহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ঢাকাকে এডিস মশা মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারীকালেও জনগণের পাশে থেকে একটি সুস্থ, সুন্দর ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিসহ এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সবাই ডিএনসিসি মেয়রকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করতে হবে।পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়রের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গুলশান-২ এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের ইস্ট-ওয়েস্ট প্রোপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডকে নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং একই এলাকায় ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাইট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাইদ হোসেনকে একই অপরাধে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এসময় তাঁরা নির্মাণাধীন ভবন দুটিতে লাল কালিতে ক্রস চিহ্ন এবং সতর্কতামূলক স্টিকার লাগিয়ে দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।