দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সাবেক তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো.আব্দুর রউফ এবং তার স্ত্রী সাহিদা ইদ্রিসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শিগগিরই মামলা দায়ের করছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
ইতোমধ্যে প্রকৌশলী মো.আব্দুর রউফ এবং তার স্ত্রী সাহিদা ইদ্রিসের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। ফলে যে কোন সময় দুদকের পক্ষ থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে মামলা দায়ে করতে পারেন।
রোববার (২৬ জুন) দুদকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে প্রকৌশলী মো.আব্দুর রউফের গৃহিনী স্ত্রীর নামে ৬০ লাখ ২৪ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রমাণ। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রকৌশলী আব্দুর রউফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে যে কোন সময় তাদের বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে মামলা দায়ে করা হতে পারে।
স্বামীর অর্জিত অবৈধ আয়কে আয়কর নথিতে প্রদর্শন করে স্ত্রী বৈধতা দেওয়ার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
দুদক সূত্র মতে, প্রকৌশলী আব্দুর রউফের স্ত্রী সাহিদা ইদ্রিস দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৯৯৯-২০০০ কর বর্ষ থেকে ২০১৭-২০১৮ করবর্ষ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪৪ টাকার আয় প্রদর্শন করেছেন। যার মধ্যে ব্যবসার আয় প্রদর্শন করেছেন ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৫৩ টাকা।
ওই আয়ে মৌসুমি ফসল (ধান, আলু, সুপারী, পেয়াজ, রসুন ইত্যাদি) ক্রয়-বিক্রয়ের লাভ দেখিয়েছেন। কিন্তু এর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তাছাড়া পূর্বে ব্যবসা ও স য় থেকে আয় দেখিয়েছেন ২১ লাখ টাকা, বিভিন্ন সময়ে দান ও উপহার হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তি দেখিয়েছেন ১৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা।
সবকিছু মিলিয়ে দুদকের অনুসন্ধানে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯০০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যয়। যার মধ্যে ৪৫ লাখ ৫২ হাজার ৬৯১ টাকার আয় বৈধ ও গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলেও ৬০ লাখ ২৪ হাজার টাকা আয়ের স্বপক্ষে কোনো বৈধ উৎস বা রেকর্ডপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি।