দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আগামী ৭ জুলাই থেকে গৃহস্থালি বর্জ্যের সাথে সংক্রামক বর্জ্য (যেমন ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি) মেশানো হলে বাসাবাড়ি হতে সেই বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে না বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে মেয়র রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে ডিএনসিসির সংক্রামক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। উ দ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা অনেকে গৃহস্থালি বর্জ্যের সাথে সংক্রামক বর্জ্য বা কোভিড বর্জ্য এক সাথে মিশিয়ে ফেলছি। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। করোনা যেমন আমরা ম্যানেজ করে চলছি, আমরা যেভাবে মাস্ক পরা শুরু করেছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করছি, একইভাবে কোভিড বর্জ্য বা সংক্রামক বর্জ্য যাতে গৃহস্থালি বর্জ্যের সাথে মেশানো না হয় সেদিকে আমাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
সংক্রামক বর্জ্য পৃথকভাবে রাখার জন্য ডিএনসিসি প্রথমবারের মত ৩ লক্ষ ব্যাগ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে বিতরণ করবো। পরবর্তীতে নগরবাসীকে নিজ উদ্যোগে ব্যাগ ক্রয় করে সংক্রামক বর্জ্য সংরক্ষণ করতে হবে। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভসসহ অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী যত্রতত্র না ফেলে এই ব্যাগে সংরক্ষণ করবেন।
বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারী কর্মীগণ প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার এ সকল সংক্রামক বর্জ্য সংগ্রহ করবে। সংক্রামক বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রতিটি অঞ্চলের একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে (এসটিএস) এনে রাখা হবে। সেখান থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাতুয়াইলে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ডিসপোজাল করা হবে।
এ কাজটি বাস্তবায়ন করতে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। এই বর্জ্য যদি আমরা যত্রতত্র ফেলে কিংবা গৃহস্থালি বর্জ্যের সাথে মিশিয়ে ফেলি তাহলে সংক্রমণ আরো বাড়ার আশংকা থাকে। আমরা আপাতত ৩ লক্ষ ব্যাগ বিনামূল্যে ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিতরণ করবো।
আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ প্রতিটি ওয়ার্ডে এ বিষয়ে প্রচারণা চালাবেন। পূর্ব রাজাবাজার এলাকার যেসকল বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রোগি আছে তাদের প্রত্যেকের বাসায় ১০ টি করে দেয়া এ ব্যাগ দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবকগন এসকল ব্যাগ বাড়িবাড়ি দিয়ে আসবেন। লিফলেট, নোটিস বিতরণের মাধ্যমে এ বিষয়ে আমাদের সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকবে।
পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, লকডাউন ১৪ দিন থাকার কথা ছিল। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় আরো ৭ দিন বাড়ানো হচ্ছে। অত্র এলাকার জনগণকে লকডাউন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য আপনাদেরকে স্যালুট জানাই। পূর্ব রাজাবাজারের জনগণ যেভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন এটি একটি দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতে যেসব এলাকায় লকডাউন হবে এটি তার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।