সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন

শ্বাস-প্রশ্বাস ও কথাবার্তায় আমরা কিভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছি !

ডাঃ মোঃ তৌহিদ হোসাইন:
শ্বাস-প্রশ্বাস ও কথাবার্তায় আমরা কিভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছি। আর এ থেকে কিভাবে নিজেদেরকে নিরাপদে রাখা যায়। ওইসব বিষয় নিয়ে গবেষণাধর্মী ও পরামর্শমূলক প্রতিবেদন তৈরি করেছেন দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ তৌহিদ হোসাইন।

দেশে এবং দেশের বাইরে অবস্থানকারী ‘দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের’ পাঠকদের জন্য এখন থেকে নিয়মিত “করোনা ভাইরাস এবং অন্যান্য রোগ সম্পর্কে” ডাঃ মোঃ তৌহিদ হোসাইনের প্রতিবেদন থাকবে।

  নিম্মে করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি প্রতিবেদন:
স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া, এমনকি আস্তে কথা বলা কিংবা জোরে কথা বলা, রাগ করে কথা বলা, হাসি-ঠাট্রা করা, বক্তব্য দেয়া,গান গাওয়া, হাচি-কাশি দেয়া-ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় আমাদের নাক-মুখ থেকে পানি-মিউকাস মেমব্রেন রস নিসৃত যে বাতাস বের হয় তাহাকে নাম দেয়া হয়েছে রেস্পিরেটরি পারটিকেল এবং এর মাধ্যমেই করোনার সংক্রমণ ঘটে।

করোনা ভাইরাস জিবানু রেস্পিরেটরি পার্টকেলের আশ্রয়েই হয় যা রেস্পিরেটরি ড্রপলেট অথবা রেস্পিরেটরি নিউক্লিয়াই আকারে শ্বাস-প্রশাসের সাথে বের হয়ে আসে।

রেস্পিরেটরি পারটিকেলের সাইজ ১-২০০০ মাইক্রোমিটার হয়ে থাকে। এক মাক্রোমিটার এক সেন্টিমিটারের ১০ হাজার ভাগের এক ভাগ।

রেস্পিরেটরি পারটিকেল দুই ধরণেরঃ
(১)রেস্পিরেটরি আরোসল বা ড্রপলেট নিউক্লিয়াই (Respiratory aerosol), সাইজঃ ১-৫ মিক্রোমিটার। অর্থাৎ এক সেন্টিমিটারের ১০,০০০ ভাগ থেকে ২,০০০ ভাগ সাইজের রেস্পিরেটরি পারটিকেল যা কেবল শীতকালে কথা বলার সময় বিশেষ করে রোদ্রালোকে খালি চোখেই আমরা অনায়াসে দেখতে পারি।

(২)রেস্পিরেটরি ড্রপলেট(Respiratory droplets) সাইজঃ ৫-২,০০০ মাইক্রোমিটার। অর্থাৎ এক সেন্টিমিটারের ২,০০০ ভাগ থেকে ৫ ভাগ সাইজের রেস্পিরেটরি পারটিকেল যা খালি চোখেই হাচি, কাশি, বক্তৃতা, গান ও জোরে কথা বলার সময়ে আমরা অনায়াসে দেখতে পারি।রেস্পিরেটরি ড্রপলেটগুলো বাতাসের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে তিন ভাগ হয়ে যায়।
ক) একটা অংশ ড্রপলেট আকারে সাথ সাথেই এক মিটারের মধ্যেই মাটিতে পড়ে যায়।
খ) একটা অংশ রেস্পিরেটরি ড্রপলেট ভেংগে রেস্পিরেটরি এরোসল বা ড্রপলেট নিউক্লিয়াই তে রূপ নেয় এবং বাতাসে প্রবাহ ভাল থাকলে অনেক দূর পর্যন্ত যায়।

গ) উপরোক্ত দুই অবস্থায় বিশষ করে রেস্পিরেটরি ড্রপলেট নিজের জামা কাপড়,চেয়ার টেবিলে পড়ে যায় এবং অন্যদেরকে ফোমাইট থেকে সহজেই ইনফেক্ট করে।

রেস্পিরেটরি আরোসলঃ (Respiratory aerosol) স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় শ্বাস ফেলার সময়,কথা বলার সময় মুখ ও শ্বাসনালী থেকে বের হওয়া যে রেস্পিরেটরি পারটিকেল এর সাইজ ৫ মাইক্রোমিটার বা তার নীচে থাকে তাহাই রেস্পিরেটরি এরোসল অথবা ড্রপলেট নিউক্লিয়াই।

শীত কালে কথা বলার সময় নাক-মুখ থেকে নিঃসৃত পানি-মিউকাস মেমব্রেন মিশ্রিত যে বাতাস বের হয় বাইরের বাতাসের সংস্পর্শে আসা মাত্র ধুয়ার মত দেখায় এসবই রেস্পিরেটরি এরোসল। আবার অনেক বড় আকারের ড্রপলেট পারটিকেল বাইরে বাতাসের সংস্পর্শে এসে তা ছোট হয়ে রেস্পিরেটরি এরোসলে রূপ নেয়।

রেস্পিরেটরি এরোসলএর মাধ্যমে সংক্রমণ হলে তাকে এয়ারবর্ণ (Airborne)সংক্রমণও বলে । এই পক্রিয়ায় করোনার সংক্রমণ ঘটে মাত্র ১% ক্ষেত্রে। বাকি ৯৯% সংক্রমণ ঘটে ইনফেকটেড হাত দিয়ে নাক মুখ ও চোখে স্পর্শ করা ও রেস্পিরেটরি ড্রপলেটের মাধ্যমে।

রেস্পিরেটরি ড্রপলেট(Respiratory droplets) জোরে কথা বলার সময়, বক্তৃতা প্রদানের সময়, হাসি-কান্নার সময় এবং গান-বাজনা, হাচি-কাশির সময়ে প্রবল বেগে মিউকাস রস-বাতাস-পানি মিশ্রিত যা কিছু বের হয় তা বিজ্ঞানীদের কাছে মূলত রেস্পিরেটরি ড্রপলেট হিসেবে গন্য। স্থীর বাতাসে রেস্পিরেটরি ড্রপলেট খুব দ্রুতই মাটিতে পড়ে যায়।

রেস্পিরেটরি এরোসল খানিকটা স্থীর বাতাসেও বিশেষ করে বদ্ধ ঘরে ২-৩ ঘন্টা ভেসে বেড়ায় এবং সংক্রমণ ঘটায়। কিন্তু প্রবাহমান বাতাসে রেস্পিরেটরি এরোসল অনেক দূর পর্যন্ত গেলেও এই প্রক্রিয়ায় সংক্রমণ হওয়ার আশংকা কম থাকে। একেতো ভাইরাসের পরিমাণ কম আবার অন্য দিকে চলতে চলতে বাতাসে ডাইলিউট হয়ে যায়।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ
১। যত বেশী ভাইরাস জীবানু ঢুকবে, যত বয়স, যত দূর্বল রোগ প্রতিরোধী তত মারাত্মক সংক্রমণ।

২। গ্রীষ্ম কালে বায়ু প্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যতিক্রম ছাড়া সংক্রমণের ঝুকি কম। ব্যতিক্রম বলতে বুঝায়, ভাইরাস যদি এমন ভ্যারিয়েন্টে রূপ নেয় যে সর্বাবস্থায় প্রতিকুল পরিবেশেও টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করে
৩। গ্রীষ্ম কালে ২০-৪০ বয়সীদের আক্রান্তের হার বেশী, শীত কালে বয়স্কদের আক্রান্তের হার বেশী।

৪। মাস্ক ড্রপলেট ইনফেকশন (৫-২০০০ মাইক্রোমিটার সাইজ) প্রতিরোধে কার্যকরি। কিন্তু রেস্পিরেটরি এরোসল বা ড্রপলেট নিউক্লিয়াই (১-৫ মাইক্রোমিটার সাইজ) প্রতিরোধে কম কার্যকরি। তবে N95 mask বা ডাবল সার্জিকাল মাস্ক ৯৫% কার্যকরি।

৫। বদ্ধ ঘর, বদ্ধ করিডোড়, এক রুমে গাদাগাদি বসবাস, ফ্যান ছাড়া গরমে হাসফাস, স্পিলিট এসি রুম, বদ্ধ পরিবেশ, স্থীর বাতাস, লোকসমাগম, বাজার, মিছিল-সভা ও বন্ধ দরজা জানালা, করোনা সংক্রমণের বড় কারখানা।

# লেখক : ডাঃ মোঃ তৌহিদ হোসাইন, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ কিডনী ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজী, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12