দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের দরিদ্রতার হার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও কম হবে বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ৫০০ আসন বিশিষ্ট নুর-ই-আলম চৌধুরী অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এলজিআরডি মন্ত্রণালযয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ হায়দার আলী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
ওই অনুষ্ঠানে সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।
এর আগে, মন্ত্রী সরকার কর্তৃক গৃহীত শিবচর উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন।
এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্রের হার ১০ শতাংশের বেশি। আর বাংলাদেশে ২০ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দারিদ্র্য যেভাবে হ্রাস পেয়েছে আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি খুব দ্রুতই আমরা দরিদ্রতার হার যুক্তরাষ্ট্রের নিচে আনতে সক্ষম হবো। বাংলাদেশ এতো অল্প সময়ের মধ্যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় বিশ্বে আজ বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সাথে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে, পাল্টে যাবে এই এলাকায় উন্নয়নের চিত্র।
ট্যুরিজম, অর্থনীতি এবং শিল্প কল-কারখানা যোগাযোগসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে জানিয়ে তিনি জানান পদ্মা সেতুর ফলে দেশের জিডিপি এক শতাংশ বৃদ্ধি পাবে আর দেশে দরিদ্রতার হার কমবে পাঁচ ভাগ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একশোটি অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সেখানে প্রায় ত্রিশ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী মানুষকে উন্নত জীবন ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য শুধু অঞ্চল ভিত্তিক নয় সারা দেশের প্রতিটি মানুষের কথা চিন্তা করেই কাজ করছেন। শেখ হাসিনা জানেন দেশের একজন মানুষকে পিছিয়ে রেখে স্বাধীনতার সুফল পাওয়া সম্ভব না।
তিনি বলেন, পানি প্রবাহ ঠিক রাখা, নাব্যতা ফিরে আনা নদী খনন এবং চর কেটে গতিপথ তৈরি করাসহ জলবায়ু জনিত ক্ষতিরোধে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে ৩৮ টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাসতবায়িত হলে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনাসহ বিভিন্ন নদীর ভাঙ্গনে অনেক ঘরবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, স্কুল বিলীন হওয়া ঠেকানো সম্ভব হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশ অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পাঠানোর পর সরকার এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য কাজ করছে। নতুন প্রজন্ম তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হলে শিবচরের মত দেশের যেকোন প্রত্যন্ত এলাকাতেও ঘরে বসে হাজার হাজার ডলার আয় করা সম্ভব।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ মানুষের মুক্তি এবং অধিকার আদায়ের জন্য সারা জীবন ধরে সংগ্রাম করেছেন, নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হয়েছেন। তারপরও তিনি লড়াই সংগ্রাম থেকে পিছু হটেননি। হাটে, মাঠে-ঘাটে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বাঙালিকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সেই দেশ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ২০৪১ সালের আগে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।/ প্রেস বিজ্ঞপ্তি