দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় মোট ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ অনেক ।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ তথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পর রোববার (৪ এপ্রিল) পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর আজ দুপুর পর্যন্ত ডুবে যাওয়া লঞ্চটি তীরে তোলা হয়। সেখান থেকে আরও ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। রাতভর উদ্ধার অভিযান চালনো হয়। ১৮ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে লঞ্চটি তীরে তোলা হয়।
স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা লাশের মধ্যে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদরের মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩) ও সদরের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮)।
নারায়ণগঞ্জ সদর ইউএনও নাহিদা বারিক জানান, মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এ ঘটনায় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কিছু যাত্রী।
তীরের অনেক কাছে লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পরও উদ্ধার করতে ১৮ ঘণ্টা সময় লাগায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তীরে অপেক্ষারত নিখোঁজদের স্বজনরা। লঞ্চটি তীরে আনা হলে ভিড় করেন স্বজনরা। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। #