দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পুরো দেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা সত্বেও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও জীবনের ঝুঁকিকে যথাযথ গুরুত্ব না দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শিল্প-কারখানা সমূহ তড়িঘড়ি করে খুলে দেবার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসই মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
বি জ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ইতিমধ্যে কারখানাতে যোগ দেবার নির্দেশনা পেয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গার্মেন্টস কর্মীরা ঢাকা ও এর আশেপাশের কারখানাতে যোগ দেবার জন্য পাঁয়ে হেঁটে ও অন্যান্য মাধ্যমে আসা শুরু করছেন।
আমাদের স্মরণ আছে যে, ইতিপূর্বে গার্মেন্টস খোলা বন্ধের বিষয়টি নিয়ে অস্পষ্টতার কারণে অনেক গার্মেন্টস কর্মীর বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় আসবার ফলে ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝূঁকি তৈরি হয় এবং বিষয়টি জনগণের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স মনে করে, শিল্প-কারখানা চালু করা এবং কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবার বিষয়টির বহুমাত্রিকতা আছে এবং সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে তাই পরিকল্পনার সকল অনুষংগ বিবেচনায় নেয়া উচিত।
আর সেকারণেই কল-কারখানার অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবার পাশাপাশি, শ্রমিকদের বাসস্থানের অভ্যন্তরীণ বসবাসের পরিবেশ, শ্রমিকদের কর্মস্থলে যাতায়াত এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধাদি নিশ্চিত করবার বিষয়সমূহ এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিবেচ্য হওয়া প্রয়োজন।
এতদপ্রেক্ষিতে, শিল্প কারখানা চালু করা এবং জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর পক্ষ থেকে বিআইপির সাধারণ সম্পাদকের একটি ভিডিও বার্তা (https://youtu.be/IkDc7KP8wC8) সংযুক্তিতে পাঠানো হল। বিষয়টির গুরুত্ব ও ব্যাপ্তি বিবেচনায় আপনার গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনসাধারণকে অবহিত করার অনুরোধ করছি।
এ প্রসংগে উল্লেখ্য যে, গত ২৬ শে এপ্রিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শিল্প-কারখানা সমূহ তড়িঘড়ি করে খুলে দেবার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে অবগত করেছিল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।