দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
করোনাকালে এবার ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি এবং পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে তোঘলকি কান্ড চলছে। নানা কৌশলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের পকেট সাফ করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আর এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মুনর দ্রুত হস্তক্ষেপ দেয়েছেন অসহায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ফেসবুকে’ ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি (১০০০—১২০০) টাকা পরিশোধ করেও অনেকেই ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৷
শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ শিরোনামে এক অভিভাকের ‘ফেসবুকে’ প্রকাশিত মতামত “দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমের” পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণঃ আস্সালামু আলাইকুম ম্যাডাম! অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি বাবদ অনেক বেশি টাকা (১০০০-১২০০) নিয়েও অনেক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না ৷
পূর্ব থেকেই কোভিড-১৯ সংকটের ধুয়া তুলে গরীব অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পরে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে খুবই সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার আসনে বসার সুযোগ দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে ৷
ফলে অনেক শিক্ষার্থী অতিতে সবগুলো পরীক্ষায় A+ পেয়েও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এটা চরম অবিবেচনা পসূত সিদ্ধান্ত ৷ গ্রেডিং পয়েন্ট (জিপিএ) এর যুগে এসেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শর্তের বেড়াজালে আটকা পড়েছে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। তারা এসএসসি পরীক্ষায় ৮০% থেকে ৯০% নম্বর এবং এইচএসসিতে এ + পেয়েছে।
এবার এইচএসসি ও এসএসসি উভয় পরীক্ষায় A+ পেয়েও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ারই সুযোগ পাচ্ছে না ৷ এখন কথা হচ্ছে , বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যে ১০০% বা ৯৯% নম্বর প্রাপ্তদেরকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দেবে। তাহলে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থদের সবার তথ্যই শিক্ষা বোর্ড থেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি জানিয়ে দিতে পারেন, কারা ভর্তির সুযোগ পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টার্গেট পুরন করা তো আর কোনো কঠিন না। কতজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চাহিদা মাফিক নম্বর পেয়েছে ৷ সেই অনুপাতে তারা ভর্তি পরীক্ষার আবেদন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে কঠিন শর্তগুলো প্রকাশ করে দিতে পারতেন।
অথবা কোভিড-১৯ সংকট এড়াতে সরাসরি তাদের চাহিদা মত সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদেরকে ভর্তি করে নিতে পারতেন ৷ অযথা কেন ভর্তি পরীক্ষার নাম করে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কোভিড-১৯ সংকটে জর্জরিত গরীব অসহায় অভিভাবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পাবলিক বিশ্ববদ্যালয়গুলো।
ফেসবুকে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এটা কি দুর্নীতির মধ্যে পড়ে না ? না কি এগুলো দেখার কেউ নাই ? অথবা মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীকে সহজ সরল পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে নিচ্ছে ৷ আমি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় মন্ত্রীকে এজন্য যে, মন্ত্রীর নির্দেশে এবার কোভিড-১৯ এর কারণে পরীক্ষা নিতে না পারায় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফি ফেরত দেয়া হয়েছে ৷
তদ্রূপ যদি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে তাদের এই অযাচিত ভর্তি পরীক্ষার নামে অর্থ লুটপাট বন্ধ করে একটা যৌক্তিক শর্তে বিগত বছরগুলোর ন্যায় যাদেরই আবেদনপত্র ফি প্রদানের মাধ্যমে আবেনপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিয়ে প্রকৃত মেধাবীদের মূল্যায়ন করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে আপনি আমাদের মত গরীব অসহায় সংকটাপন্ন অভিভাবকদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিবেন ইনশাল্লাহ !
আপনার সদয় অবগতির জন্য আরও জানাচ্ছি যে, যেহেতু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। সেহেতু কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কিছুটা সহনশীল পর্যায়ে এলে আবেদনকৃত সকলকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে আপনার কৃপাদৃষ্টি আকর্ষণ করছি ৷ বিনয়াবনত ; মো: ইউনুস / জনৈক ভর্তি যোদ্ধার অভিভাবক ৷
#