দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আগামী ১৫ নভেম্বর অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের আটকে রাখার ঘটনায় দায়ের হওয়া মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ রোববার (১৮ অক্টোবর) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ছিল।
কিন্তু মামলাটির তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করে সময় চেয়ে আবেদন জানান। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান ১৫ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন। ওইদিন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত বছর ২৪ অক্টোবর এ মামলায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যে অভিযোগে সাংবাদিকদের আটকে রাখার ‘সত্যতা পায়নি’ মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব রহমান। পরে পুলিশের দেওয়া ফাইনাল প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান।
সেই নারাজি আবেদনের উপর শুনানি শেষে গত বছর ২৫ নভেম্বর একই আদালত অভিযোগটির অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন চুরি হয়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক ও ক্যামেরা পারসন এবং শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। হারানো মোবাইল সাংবাদিকরা চুরি করেছেন বলে গেট আটকে রাখেন এবং সবাইকে তল্লাশির কথা বলেন। পরে টেলিভিশন ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাইরের একজনের কাছ থেকে মোবাইল দু’টি পাওয়া যায়।
আর এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় এ মানহানি মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিক সম্প্রদায়সহ সমাজের অন্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক।
আসামির এ রকম আচরণ অনলাইনে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের চোর আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সেদিন নির্দেশ দিয়েছিলেন। #