দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ রেলের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রমজান আলী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
রোববার (১৬ আগস্ট) দুদক সজেকা ঢাকা-১ কার্যালয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় পৃথক ২টি মামলাটি দায়ের করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ২টি মামলাটি দায়ের করেন।
গণমাধমকে এই তথ্য জানান দুদক পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি আরো জানান, মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রমজান আলী, খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পরে কাজটি করতে গিয়ে ঘুষ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হয়েছেন।
আসামির বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্র্যন্ত তাঁর অর্জিত ২ কোটি ৭০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৬- টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত এই সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/ অবৈধ ২ কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ২৮৬ টাকার সম্পদ অর্জন করে দখলে রেখেছেন।
ফলে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় একটি নিয়মিত মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা নং-০৭।
দুদকের উপপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ওই প্রকৌশলী মোঃ রমজান আলীর স্ত্রী আগা দিলরুবা পারভীন ইলোরার বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা ওই একই ধারায় দায়ের করেন। মামলা নং-৮।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তার অর্জিত ২ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ৬৫৬ টাকার সম্পদ রয়েছে। তিনি জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত / অবৈধ ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার ১৮০ টাকার সম্পদ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত করেছেন। যারফলে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। # কাশেম