দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যে কোন দুর্যোগে, যে কোন সমস্যায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল হতে ১২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন মেয়র তাপস। তিনি বলেছেন, দুর্যোগকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে দেওয়া দান-অনুদান সর্বোত্তম।
বুধবার ( ২ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ ও ২০২১-২৩ মেয়াদে ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসির মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঢাকা সিটি ইউনিটের কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে চাই। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে অনেক কার্যক্রম করতে পারেনি। সেজন্য যাঁরা আর্ত-মানবতার সেবায় নিবেদিত হতে চান, আমি তাঁদের সকলের প্রতি নিবেদন করব, আপনাদের যেকোন দান-অনুদান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে প্রদান করুন।
মেয়র বলেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনগণের কাছ থেকে যে অর্থ পেয়ে থাকে তা সম্পূর্ণরূপে আর্ত-মানবতার সেবায়, মানুষের দুর্যোগে ব্যয় করা হয়, বিনষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেজন্য দান-অনুদানের সর্বোত্তম জায়গা হলো রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস রেড ক্রিসেন্টের আজীবন সদস্য হিসেবে যে কোন দুর্যোগকালে স্বেচ্ছায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ঢাকা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের আজীবন সদস্য সংখ্যা ও কার্যক্রম বৃদ্ধির পরিকল্পনা জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা আগামী বছরের মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ হাজারে নিয়ে যেতে চাই এবং আমাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা বাজেট তিনগুণ করেছি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল হতে ১২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শরিফ খানের সঞ্চালনায় এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আজীবন সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র নগরবাসীর উদ্দ্যেশে বলেন, দীর্ঘ ৩২ বছর পর আমরা ঢাকা শহরের সকল খাল-জলাশয়ের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছি। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে এটি আমাদের ওপর গুরু দায়িত্ব। সে লক্ষ্যে আমরা গত ১ ডিসেম্বর থেকেই আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতায় ১১টি খাল পুনরুদ্ধার, বর্জ্য দ্বারা যেগুলো বদ্ধ হয়ে গেছে সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ আমরা সেখানে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির পরিকল্পনা করছি।আমাদের ছেলে-মেয়েরা, ঢাকাবাসী যেন সাইকেল চালিয়ে-হেঁটে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারে, আমরা সেরকম ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
মেয়র বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সারা বছরই চলমান রাখার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।তিনি বলেন, আমরা যে কোন সময়ের চেয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অত্যন্ত বেগবান করেছি। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি