দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
এবার রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ এর চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এনআরবি ব্যাংক লিঃ-এর প্রায় ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)।
ফলে যে কোনোন সময় দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন বলে জানানো হয়। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, দুদকের মামলায় ৪ আসামি হচ্ছেন-১.মোঃ সাহেদ চেয়ারম্যান, রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ, ২.মোঃ ইব্রাহিম খলিল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ,৩. মোঃ সোহানুর রহমান, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার, এসই ব্যাংকিং, এনআরবি ব্যাংক লিঃ, কর্পোরেট হেড অফিস, ঢাকা, ৪. ওয়াহিদ বিন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, এসই ব্যাংকিং, এনআরবি ব্যাংক লিঃ ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে এনআরবি ব্যাংক লিঃ থেকে ২০১৪ সালে ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৫/ জানুয়ারি পর্যন্ত সুদসহ ১ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের, চলতি হিসাবটি খোলার সময় গ্রাহকের নিকট থেকে কোন টাকা জমা গ্রহণ করা হয়নি। মোঃ সাহেদ চেয়ারম্যান, রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ, এনআরবি ব্যাংক লিঃ এর একজন নতুন গ্রাহক।
সাহেদ ২০১৪ সালে ১৭ নভেম্বর হিসাবটি খোলেন। কিন্তু হিসাব খোলার ১ (এক)দিন পূর্বে ১৬/ নভেম্বর মোঃ সোহানুর রহমান, প্রিন্সিপাল অফিসার ও ওয়াহিদ বিন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট উভয়ে এসএমই ব্যাংকিং ঋণ মঞ্জুরীর জন্য সুপারিশ প্রেরণ করেন। ঋণ মঞ্জুরীর পূর্ব পর্যন্ত উক্ত হিসাবে কোন লেনদেন ছিল না।
মোঃ সাহেদের হাসপাতাল ব্যবসার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। অন্য কোন ব্যাংকে বা অন্য কোন ব্যবসায় মোঃ সাহেদের কি ধরনের বিনিয়োগ/লেনদেন ছিল, সে সম্পর্কে কোন তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। ঋণের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত জামানত গ্রহণ করা হয়নি। ঋণ বিতরণের পূর্বে বা পরে যথাযথ তদারকি করা হয়নি। গ্রাহকের ব্যবসায়িক সুনাম, ঐতিহ্য, অভিজ্ঞতা যাচাই করা হয়নি। ঋণ মঞ্জুরীপত্রের শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি।
মোঃ সাহেদ চেয়ারম্যান, রিজেন্ট হাসপতাল লিঃ থেকে ঋণ মঞ্জুরীপত্রের শর্তানুযায়ী এফডিআর করেছিলেন। পরবর্তীতে ঋণ গ্রহীতা মোঃ সাহেদ, চেয়ারম্যান, রিজেন্ট হাসপাতাল, ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃক তার উক্ত এফডিআর ক্লোজ করে ঋণ সমন্বয় করেন। এতে দেখা যায় মোঃ সাহেদ স্বেচ্ছায় কখনও ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি।
তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের জন্য ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের জন্য ২টি টার্ম লোনে ২(দুই) কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরী নিশ্চিত হয়ে ১(এক) কোটি টাকা এফডিআর করেছেন। মোঃ সাহেদ চেয়ারম্যান, রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ সহ অন্যান্যরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক এনআরবি ব্যাংক লিঃ থেকে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ২টি টার্ম ঋণ রিসিডিউলসহ ২ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৭ টাকা ৬৯ পয়সা ঋণ বিতরণ/গ্রহণ করেছেন।
উক্ত সময়ে ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ২২৭ টাকা ৫০ পয়সা সুদ ও অন্যান্য চার্জ ধার্য করা হয়েছে। উক্ত সময়ের মধ্যে লিয়েনকৃত মোঃ সাহেদ চেয়ারম্যান, রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ এরনামীয় এফডিআর থেকে ১ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৯ টাকা ৪৪ পয়সা সমন্বয় করার পর সুদসহ অবশিষ্ট ব্যাংকের ১ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫/ টাকা ৭৫ পয়সা আত্মসাতের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। # কাশেম