দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে,করোনা রোগীদের পরীক্ষার নামে মারাত্নক জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের থাকা- খাবারের নামে ভুয়া বিল ভাউচারে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপপরিচালক মোঃ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে মামলার বাদী ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
দুদকের দায়ের করা মামলার পাঁচ আসামি হলেন;১) মোহাম্মদ সাহেদ চেয়ারম্যান, রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ, ঢাকা, ২) ডা. মোঃ আমিনুল হাসান, প্রাক্তন পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ৩) ডা. মোঃ ইউনুস আলী, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর , ৪) ডা. মোঃ শফিউর রহমান ,সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ৫) ডা. মোঃ দিদারুল ইসলাম গবেষণা কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহাররের মাধ্যমে লাইসেন্স নবায়ন বিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (গড়ট) সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষার নামে জালিয়াতি করেছেন। আসামিরা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা হিসেবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
শুধু তাই নয় রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ ঢাকার জন্য চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে আরো ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক চাহিদা দেখিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে এসব বিষয় উঠে এসছে। #