দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দেশের বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জারিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ৩ কোটি ৩৪ লাখ সাড়ে ৬ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় দুদক চার্জশীট দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে যে কোন দিন ফরোয়াডিংসহ আদালতে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ওই ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করবেন।
আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেছেন,আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে শিগগির আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার্জশীট দাখিল করা হবে।
দুদকের মামলায় চার্জশীটের ৬ আসামি হলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগশাজসে রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তির মাধ্যমে সরকারের ৩ কোটি ৩৪ লাখ সাড়ে ৬ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে। আর এই অভিযোগে গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীবাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে মামলার তদন্তে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এবার আবুল কালাম আজাদকে চাজশীটে আসামি করা হয়েছে।
দুদক উপ পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী দীর্ঘ এক বছর পরে মামলার তদন্ত শেষে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন জন্য কমিশনে প্রতিবেদন দেন জমা দেন। আজ সোমবার চার্জশীট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। মামলার তদন্তে আগত আসামি অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদকে যুক্ত করা হয়েছে।
এই মামলার আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (MoU) সম্পাদন ও সরকারী প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করত অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতাল লি., মিরপুর ও উত্তরা শাখার জন্য চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে আরো ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তারা MoU Revision এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আর এই অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ৫(২) ধারায় দায়ের হওয়া মামলাটির চার্জশীট অনুমোধন হয়েছে।
#