সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

রাজস্ব বিভাগে ৩০ হাজার মামলায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা অনাদায়ী

দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
রাজধানীসহ সারাদেশে কাস্টমস, এক্সাইজ, ভ্যাট, আয়কর ও বন্ড-সংক্রান্ত অর্থাৎ রাজস্ব খাতের প্রায় ৩০ হাজার মামলা বিচারাধীন। এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হলে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার জটে হিমশিম খাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ।

জানা যায়,বাণিজ্যিক পর্যায়ে, সরকারি বেসরকারি আমদানি কিংবা উৎপাদনকারী ও সেবামূলক অনেক প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ও শুল্ক-করাদি অপরিশোধিত থাকার ঘটনা নিয়ে ৩০ বছরের পুরোনো মামলাও তালিকায় রয়েছে। প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে কাস্টমস, এক্সাইজ, ভ্যাট, আয়কর ও বন্ড-সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা। তবে পুরাতন মামলা নিষ্পত্তিসহ সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট সংক্রান্ত আপীলাত ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে ৪ হাজার ৭২৯টি মামলা।

মামলার জটে আটকে আছে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল ৪ হাজার ৭২৯টি মামলা। ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল ৬ হাজার ৬২৬টি মামলা। যদিও ডিসেম্বরের শুরুতে অনিষ্পত্তি মামলার সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ১৩০টি। এর মধ্যে শুধু ডিসেম্বর মাসেই ৫০০টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অন্যদিকে, এ সময়ে আরও ৯৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। অর্থাৎ মামলার প্রবণতা থেকে মুক্তি মিলছে না প্রতিষ্ঠানটির। ২০১২ সাল থেকে পুরোনো ও নতুন মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও তাতে তেমন গতি আসেনি।

বিচারিক আদালত (এজলাস) ও জনবল সংকটের কারণে মামলার জট কমছে না। আপিল, ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলা এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যায়। আদালতের নির্ধারিত প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে স্বল্পসময়ে বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া অর্থাৎ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা এডিআরের দিকে জোর দিলেও আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। বাণিজ্যিক পর্যায়ে, সরকারি বেসরকারি আমদানি কিংবা উৎপাদনকারী ও সেবামূলক অনেক প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ও শুল্ক-করাদি অপরিশোধিত থাকার ঘটনা নিয়ে ৩০ বছরের পুরোনো মামলাও তালিকায় রয়েছে।

আদালতের নির্ধারিত প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে স্বল্পসময়ে বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা এডিআর বলা হয়। যেখানে করদাতার মামলার খরচ ও সময় দুটিই বাঁচে। আবার সরকারও দ্রুত রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়। এনবিআর মনোনীত একজন নিরপেক্ষ সহায়তাকারীর মধ্যস্থতায় করদাতা ও কর বিভাগের প্রতিনিধিদের মতৈক্যের ভিত্তিতে সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির চুক্তি হয়।

এক্ষেত্রে মামলাটি যে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারাধীন, সেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এডিআর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হয়। মামলা নিষ্পত্তির জন্য করদাতাকে বিরোধীয় করের ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন দুই হাজার ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা) ফি দিতে হয়। এডিআরের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি হতে সর্বোচ্চ সময় লাগে ৯০ দিন। এডিআরে মতৈক্য না হওয়ার ক্ষেত্রে করদাতা পুনরায় আদালতে ফিরে যেতে পারেন। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশের কর প্রশাসনে এ পদ্ধতি চালু হয়েছে।

এদিকে, এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে জানা যায়, গত বছর ডিসেম্বরে মাসিক সমন্বয় সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন । তিনি মামলার নিষ্পত্তি বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্র্রাইব্যুনালকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। পাশাপাশি এডিআর কে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করারও নির্দেশনা দেন।

সম্প্রতি আপীলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট এস এম মো. হুমায়ুন কবির একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুরাতন মামলা নিষ্পত্তিসহ সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর। যার মধ্যে ২০১২ সালে কাস্টমসের করা মামলা চার বছর এবং ভ্যাটের করা মামলা দুই বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আপীলাত ট্রাইব্যুনালে চারটি বে গঠন করায় মামলা নিষ্পত্তিতে গতি পেয়েছে। এনবিআরের সদস্য পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা আপীলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সঙ্গে আছেন চারজন কাস্টম কমিশনার ও চারজন জেলা জজ। এস এম মো. হুমায়ুন কবির বর্তমানে আপীলাত ট্র্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ‘সাম্প্রতিককালে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০০ মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্য রয়েছে।

আপীলাত ট্রাইব্যুনালে চারটি বে রয়েছে। কাস্টমসের একজন ও বিচার বিভাগের একজনের সমন্বয়ে বে গঠিত হয়। আগে যেমন দুই সদস্যের বেে র একজন বিচারক অসুস্থ বা অন্য কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে বে বসত না। এখন একজন অসুস্থ থাকলে তার বিকল্প একজন উপস্থিত থাকেন। অর্থাৎ বেে র কার্যক্রম নিয়মিত চলছে।
#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12