দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পদোন্নতি প্রদানে দুর্নীতি, নানা অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুদক অভিযোগ কেন্দ্র হটলাইন -১০৬ এ অভিযোগ আসে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান সম্প্রতি কোন প্রকার বোর্ড সভা না করে ৬ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি প্রদান করেন এবং এর বিনিময়ে প্রত্যেকের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণ করেন।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি আরো জানান, তৎপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন এর নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
সরেজমিনে পরিদর্শন ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে উল্লিখিত পদোন্নতিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
অভিযানকালে সংগৃহীত তথ্যাবলি বিশ্লেষণে দৃষ্ট হয়, বিদ্যমান জনবল কাঠামোতে কোন শূন্য পদ না থাকলেও মনগড়া পদ সৃষ্টি করে ৬ জন কর্মকর্তাকে ৬ষ্ঠ গ্রেড সুপারসিড করে ৭ম গ্রেড থেকে সরাসরি ৫ম গ্রেডে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
টিমের পক্ষ হতে বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান যে, তাঁকে না জানিয়েই এ প্রমোশন দেয়া হয়েছে এবং পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতিকৃত পদে বেতন ভাতা দাবির ফাইল তাঁর নিকট উপস্থাপন করা হলে তবেই তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হন।
এ অভিযোগের বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
এদিকে দুদকের একই টিম ৫ মার্চ রাজশাহী সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। দুদক হটলাইনে অভিযোগ আসে, গত বছর ২৭ নভেম্বর রাজশাহী মহানগরীর একটি ফিলিং ষ্টেশনের মালিকের ৪টি দলিল সম্পাদনে সদর সাব-রেজিস্ট্রার ৪৮ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।
অভিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রার প্রতিদিন ৪,০০০-৫,৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে ভিআইপি লাউঞ্জে অবস্থান করেন এবং বিমানে ঢাকায় যাতায়াত করেন। তিনি উক্ত মোটেলেই কমিশন গ্রহণ করে সকল দলিল স¤পাদন করতেন এরূপ অভিযোগও পাওয়া যায়।
দুদকের টিম উক্ত সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে। টিম জানতে পারে, ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রার অসুস্থতার দরখাস্ত দিয়ে অদ্যাবদি অফিসে উপস্থিত হননি। এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এছাড়াও ভূমি অধিগ্রহণে শ্রেণি পরিবর্তন করে অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এবং ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যথাক্রমে যশোর জেলা কার্যালয় এবং কুমিল্লা জেলা কার্যালয় হতে ২টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। # কাশেম