দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাজধানীর শ্যামপুর খালে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা আর্বজনা অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে । একই সাথে ধানমন্ডি লেক পরিষ্কারেও অভিযান শুরু করেছে ডিএসসিসি।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে শ্যামপুর খালের বড়ইতলা পয়েন্ট থেকে জমাটবাধা ময়লা আর্বজনা অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়। ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন সংস্থার মৃতপ্রায় খাল ও জলাশয়গুলোতে পানিপ্রবাহ সৃষ্টির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা চলছে। বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে মশা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে শ্যামপুর খাল ও ধানমন্ডি লেকে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।দুপুরে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুর রহমান এবং সংরক্ষিত আসনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর সাহিদা বেগমসহ করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা শ্যামপুর খালের বর্জ্য অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি করেন।
শ্যামপুর খালে শুরু হওয়া বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. বদরুল আমিন বলেন, ‘ডিএসসিসির মেয়র ঢাকা দক্ষিণের আওতাধীন এলাকা শ্যামপুর খাল, জিরানি খাল, কালুনগর খাল, মান্ডা খাল ও খিলগাঁও ঝিলের বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নির্দেশনা দিয়েছেন।
শুক্রবার শ্যামপুর খালের বড়ইতলা পয়েন্ট হতে বর্জ্য অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম জলাবদ্ধতা নিরসন ও দূষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। করপোরেশনের অন্যান্য বিভাগের সহযোগিতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রায় ১০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী শ্যামপুর খালের বর্জ্য অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধানমন্ডি লেকে যারা হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম ও চলাফেরা করেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তারা চলমান লেক পরিছন্নতা কার্যক্রমের সুফল পাচ্ছেন।’# প্রেস বিজ্ঞপ্তি