দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই । একটি অপরাধীচক্র কোনো অপরাধ সংগঠনের চেষ্টা করছিল। সে সংবাদটি জানার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপরে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) কৃষ্ণপদ রায় পল্লবী থানা ভবন পরিদর্শনের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আধাঘণ্টার মধ্যে দুটি শব্দ হয়েছে আপনারা শুনেছেন। আমাদের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট এক্সপার্টরা ডিভাইসগুলো স্টাডি করার পরে এক্সপ্লোসিভ সমৃদ্ধ দুটি ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, যাদের আমরা গ্রেফতার করেছি তারা কোন জঙ্গি গ্রুপের সদস্য নয়। তারা কোনো না কোনো অপরাধী গ্রুপের সদস্য। ওজন মেশিনসদৃশ বস্তু যা ছিল সেটার ভেতরেই এই এক্সক্লুসিভগুলো ছিল।
কৃষ্ণপদ রায় আরো বলেন, তারা একটি অপরাধ করার পরিকল্পনা করছিল। সেটা হতে পারে কাউকে খুন করার জন্য বা কোনো সম্পত্তি দখল সংক্রান্ত বা ডাকাতি করার জন্য। আমরা তদন্তের সন্তোষজনক পর্যায়ে এলে এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবো। নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য বা পুলিশ থেকে রক্ষার জন্য তারা এক্সপ্লোসিভগুলো ব্যবহার করে থাকতে পারে।
ঘটনা সম্পর্কে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, পল্লবী থানা পুলিশ ও মিরপুরের ডিবির নেতৃত্বে কয়েকদিন ধরেই একটা টিম কাজ করছিল। এ অঞ্চলে মাঝে মাঝে নানা ধরনের ক্রাইম হয়। একটি গ্রুপ ক্রাইম করতে পারে বা ক্রাইম হতে পারে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে কালশী কবরস্থানের দিকে পল্লবী থানা পুলিশের একটি টিম যায়।
সেখানে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ সমবেত হয়ে ক্রাইম করার পরিকল্পনা করছে-এমন খবরে সেখানে অপারেশনে গিয়ে রফিকুল ইসলাম, শহীদুল ও মোশারফ নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, সেখানে আরও কয়েকজন ছিল যারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয় যেটি ওয়েট মেশিনের মতো।
তারা (পুলিশ) যখন মেশিন নিয়ে আসছিল তখন থানার ভেতর একটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ ঘটার পরে আমাদের চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ সদস্য আহত হন। #