দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানী থেকে বেওয়ারিশ কুকুর অপসারণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশকিছু বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ধরণের বেশ কিছু ছবি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রচারিত ছবিগুলোর মধ্যে দেখা যায়, অনেকগুলো মৃত বেওয়ারিশ কুকুরকে মেরে নর্দমার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। বেওয়ারিশ কুকুরকে নিস্তেজ করে বা মেরে খোলা ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছেরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইসব বিষয়ে নগরবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও বিকৃত ছবি প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সম্মানিত নাগরিককে অনুরোধ জানাচ্ছে। সচেতন নাগরিকবৃন্দ, একটু মনোযোগ সহকারে খেয়াল করলেই বুঝতে সক্ষম হবেন যে, যে ছবিতে কুকুরকে বধ করে গাড়িতে ওঠানো হচ্ছে, সেই ছবির গাড়িতে পেছনে লেখা রয়েছে ‘… ণালয়’ অর্থাৎ গাড়িটি কোন মন্ত্রণালয়ের।
ডিএসসিসির পরিবহন বিভাগ যথেষ্ট সমৃদ্ধ বিধায় কর্পোরেশন কখনোই কোন মন্ত্রণালয়ের গাড়ি ব্যবহার করে না বা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই, গাডিটি অবশ্যই ডিএসসিসি’র নয়।
এছাড়াও কুকুর অপসারণ কার্যক্রমে কুকুরকে সাময়িকভাবে অচেতন করার জন্য যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়, সেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরপরই কুকুরকে গাড়িতে তোলা হয়। তাই অনেকগুলো কুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে এক সাথে করে এক জায়গায় নর্দমার পাশে ফেলে রাখার কোন অবকাশ থাকে না।
এ ধরণের আরেকটি ছবিতে দেখানো হচ্ছে, অনেকগুলো নিস্তেজ বেওয়ারিশ কুকুরকে একটি খোলা ট্রাকের এক কোণায় সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। একটু মনোযোগ সহকারে পরখ করলেই বোঝা যায় যে, ব্যবহৃত খোলা ট্রাকটি ‘…ণালয়’ লেখা মন্ত্রণালয়ের সেই গাড়িটির ‘টপ ভিউ’ মাত্র। প্রায় একই রকম আরেকটি ছবিতে অনেকগুলো নিস্তেজ কুকরকে নসিমন জাতীয় একটি খোলা গাড়িতে আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে।
বস্তুত ডিএসসিসি কোন বেওয়ারিশ কুকুরকে হত্যা করেনি বা করছেও না। তাই মিথ্যা, বানোয়াট ও বিকৃত ছবির পসরা সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা কোনো সংঘবদ্ধ চক্র ডিএসসিসি’র ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে বলে প্রতীয়মান।
ঢাকাবাসি ও দেশের আপামর জনসাধারণকে অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি যারা এই অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ এর মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।# প্রেস বিজ্ঞপ্তি