সর্বশেষঃ
ঢাকায় বিমানবন্দরে বিদেশি যাত্রী ১৩০ কোটি টাকার কোকেনসহ আটক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ :কারা মহাপরিদর্শক কক্সবাজার সংলাপের সুপারিশ নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা সম্মেলনে তুলে ধরা হবে : পররাষ্ট্রসচিব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ রূপে ফিরছে ‘সাদাপাথর’, ফিরছেন পর্যটকরা নেপালকে উড়িয়ে দাপুটে জয় বাংলাদেশের মেয়েদের এবার কি তবে শিকাগোতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করবেন ট্রাম্প? রাজধানী ৯১ স্থানে সভা-সমাবেশ না করার অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৩২ অপরাহ্ন

রাজধানীতে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে

দূরবীন নিউজ ডেস্ক :
রাজধানীসহ সারা দেশেই চলতি ডিসেম্বরেও ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশার উৎপাত বাড়ছে। গত কয়দিনে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

এমনকি গত ১৩ ডিসেম্বর একদিনই ৪২ জন ভর্তি হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে রাজধানীতেই এডিস মশা বেশি। এখনো রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এডিস মশা জন্মানোর মতো অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।
জানা যায়, এবার ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী কেবল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৩৩ জন। আইইডিসিআর মোট ২১১ মৃত্যু পর্যালোচনা করে এর মধ্যে থেকে ১৩৩ জন ডেঙ্গুতেই মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে।

আইইডিসিআরের কাছে ৫৩টি মৃত্যুর তথ্য রয়েছে। আইইডিসিআরের কাছে মোট ২৬৪টি মৃত্যুর তথ্য আসে। তবে এই ২৬৪ জন মানুষই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ডেঙ্গু সন্দেহে এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা এদের ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা দিয়েছেন।

গত জুলাই-আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নগরীর বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত করে গুরুত্ব দিয়ে মশা মারার ওষুধ ছিটানোর কাজটি করলেও অক্টোবর থেকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকা ছাড়া অন্যান্য স্থানে স্প্রে করার কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।

রাজধানীর বাসিন্দারা জানান, তারা অক্টোবর থেকে ফগিংওয়ালা অথবা মশা মারার স্প্রে করার লোকদের আর আগের মতো দেখতে পাচ্ছেন না। আগে নিজ বাসার সামনে না পেলেও কাছে কোথাও মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তা বোঝা যেত অথবা কেউ-না-কেউ বলতে পারতেন।

এখন মশার ওষুধ ছিটানো টের পাওয়া যাচ্ছে না। মশা মারার কাজটি অব্যাহত থাকলে ডেঙ্গুকে রাজধানী থেকে নির্মূল করে দেয়া যেত বলে তারা মন্তব্য করেন।

রোগ তত্ত্ব রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের দিকে আগের চেয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ হয়তো কমে যাবে। কিন্তু একেবারে নির্মূল হবে না। হয়তো দেখা যাবে ডিসেম্বরেও ডেঙ্গু আক্রান্ত পাওয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, এখন থেকে ডেঙ্গু সারা বছরের রোগ হিসেবে আমাদের মধ্যে থেকে যাবে। বর্ষাকালে হয়তো বেশি থাকবে আর শীতকালে সংখ্যায় কমে যাবে। কিন্তু একেবারেই পাওয়া যাবে না সে রকম না-ও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো শীতপ্রধান দেশের কয়েকটি রাজ্যেও এ বছর ডেঙ্গু অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রভাব।

জলবায়ু বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সামনের দিনগুলোতে জিকার মতো রোগগুলোও বাংলাদেশে যদি চলে আসে তাহলে বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আলমগীর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী ১২৮টি দেশে এডিস মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এটা ভবিষ্যতে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ ছাড়া যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে এবং বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজের মতো হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বেশি বেড়েছে। এসব কারণে এডিস মশা ছড়িয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, এডিস মশা যেকোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতাও বৃদ্ধি করেছে। এসব কারণে এডিস মশা অথবা ডেঙ্গুর জীবাণু নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না।

গত ১৫ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক তথ্য থেকে জানা গেছে, ওইদিন ৪২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে ২৪ জন রয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। অবশিষ্টরা দেশের নানা প্রান্ত থেকে আক্রান্ত হয়েছে। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12