দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাস পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশের করা একাধিক মামলায় বিএনপির ১৭৮ জন নেতাকর্মীর আগাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। বাস পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৭৮ জনের আগাম জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন। আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বিএনপির নেতা- কর্মীদের জামিন হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি জানান, উত্তরা, ধানমন্ডি, শাহবাগ ও মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় ১৭৮ জন ৩৬টি জামিন আবেদন করেছেন। সেসব আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ঢাকা-১০ আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম, যুবদলের দুই সহ-সভাপতিসহ এসব নেতাকর্মীর ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগাম জামিন দিয়েছেন। এর মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল জানান, গত ১৬ নভেম্বর ১৪টি মামলায় বিএনপির ১৪০ জন নেতাকর্মী হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় পৃথক জামিন আবেদনগুলো হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চান। ওইদিন শতাধিক নেতাকর্মী আগাম জামিন পেয়েছিলেন।
জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে মতিঝিল থানার মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে, ১টা ২৫ মিনিটে রমনা হোটেলের সামনে চলতি ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনে, ২টা ১০ মিনিটে সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহন ও বংশাল থানার নয়াবাজার এলাকায় ২টা ২৫ মিনিটে দিশারী পরিবহনে আগুন দেওয়া হয়।
এছাড়া দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে পল্টন থানার পার্কিং-এ জৈনপুরী পরিবহন, বিকেল ৩টায় মতিঝিল থানার পূবালী পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন দোতলা বিআরটিসি বাসে, ভাটারা থানার কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে ও রাতে উত্তরার আজমপুরে আগুন দেওয়া হয়।
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে গত ১২ নভেম্বর দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোট ১১টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দায়ী করে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি মামলা হয়। এসব মামলার আসামি বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী।/