দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দেশের প্রায় ১০ লাখ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক-কর্মচারীর প্রত্যেকের জন্য ন্যুনতম ১০ হাজার টাকা করে সরকারী বরাদ্দকরণ, শীঘ্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দেয়ার আদেশ জারী, নিবন্ধনের শর্ত শিথিলকরণ ও উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনাসহ ৫ দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ এসোসিয়েশনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খন্দকার কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন।
দুপুরের পর পানি পান করিয়ে শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচী ভঙ্গ করেন বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ, গণআজাদী লীগের মহাসচিব মো. আতাউল্লাহ খান এবং লেখক-কলামিস্ট ও ঢাকা মহানগর ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম।
অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান সরকার, জাতীয় কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ এন্ড সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আহসান সিদ্দিকী, শিক্ষকনেতা ড. মনিরুজ্জামান, জহিরুল ইসলাম খান, মো. আলাউদ্দিন, এম এ মান্নান মনির, সাংবাদিক মোসলেহ উদ্দিন, মো. ছলিমুল্লাহ ও ময়নাল হোসেন প্রমুখ।
শিক্ষক নেতারা দাবী আদায় না হলে আমরণ অনশন কর্মসূচী দেয়ার ঘোষণা দেন। অনশনে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কয়েকজন শিক্ষক অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আমরা একাত্তরের রণাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে অংশগ্রহণ করেছিলাম একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আজ স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরও দেখতে পাচ্ছি শিক্ষক সমাজের একটি বড় অংশের সাথে চরম বৈষম্য প্রদর্শণ করা হচ্ছে।
শিক্ষকদের একাংশ স্কুলে না গিয়ে বেতন পাবে, আরেক অংশ না খেয়ে দিনাতিপাত করবে, এমন রাষ্ট্র আমরা চাইনি। স্বয়ং বঙ্গবন্ধুও এমন রাষ্ট্র চাননি। তিনি অনতিবিলম্বে সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শিক্ষাসেবার মহান দায়িত্ব পালনকারী কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের জন্য আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য বিনাসুদে ঋণ (প্রণোদনা)বরাদ্দের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।