দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রাজধানীতে বিগত সময়ের তুলনায় এখন জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই কম। মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এই ৩ ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, বেশ কয়েকটি জায়গায় জলজট হয়েছে। তবে আগের তুলনায় কম।
তিনি বলেন, আজকের বৃষ্টিতে যেসব জায়গায় জলজট সৃষ্টি হয়েছে আমরা সেসব স্থানকে আমাদের পরবর্তী কার্যক্রমে প্রাধিকার দেব এবং আগামী ২ বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতাকে একটি সহনীয় মাত্রায় আনতে সক্ষম হব বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের প্রত্যাশা হলো, দীর্ঘমেয়াদে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়া।
মেয়র তাপস বলেন, গত পাঁচ মাসে আমাদের গৃহীত কার্যক্রম এবং আজ সকাল থেকে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঠ পর্যায়ে তৎপরতার কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুততার সাথে নেমে যায়। সেজন্য আমি আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আপনারা অবগত আছেন যে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর ২ জানুয়ারি হতে জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর, কালুনগর খালসহ খালগুলোর শাখা-প্রশাখা এবং পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে আমরা বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এসব খাল ও বক্স কালভার্ট হতে ১ লাখ ৩৫ মেট্রিক টনের অধিক বর্জ্য ও ৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন পলি অপসারণ করেছি। এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে পাওয়া অচল দুটি পাম্প স্টেশন এর তিনটি পাম্প মেশিন সচল করতে সক্ষম হয়েছি এবং বাকি ৩টি সচল করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া বদ্ধ নর্দমা ও আমাদের উন্মুক্ত নর্দমাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলমান রয়েছে এবং এই জুনের মধ্যেই তা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
আমি আগেও বলেছি, আমাদের কার্যক্রমের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইস গেটগুলো দ্রুত আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হোক। তা এখনো হয়নি। এছাড়া ডিএনডি বাঁধ, হাতির ঝিল প্রকল্প, মেট্রোরেলের কার্যক্রমের ফলে জলাবদ্ধতার সম্পূর্ণ সমাধান এখন পর্যন্ত দেয়া সম্ভব না হলেও অতীতের মতো ঢাকাবাসীকে কোথাও কোমর পানি বা গলা পানিতে নাজেহাল হতে হয়নি।
#