নিজস্ব প্রতিবেদক
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এবং রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কারণ রাজধানীতে ৬ তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা হলফনামা দাখিল করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট ।নিয়েছেন।।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে প্লট দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
অনুমোদিত মামলার আসামিরা হলেন: সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ) ও সদস্য (এস্টেট) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য (অর্থ) মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত ও বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ঢাকা শহরের ধানমন্ডির নায়েম রোডে ছয়তলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তিনি মিথ্যা তথ্যসংবলিত হলফনামা জমা দিয়ে পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের ১০২ নম্বর রোডের ৪ নম্বর প্লটটি নিজ নামে রেজিস্ট্রিমূলকভাবে দখল করে নেন।
পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থেকে আইনসম্মত পারিশ্রমিক না পাওয়ার পরও জেনেশুনে এবং স্বজ্ঞানে দুর্নীতিপূর্ণ যোগসাজশে নিজে এবং অন্যদের অবৈধভাবে লাভবান করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এই দুর্নীতির ঘটনায় সাবেক প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি রাজউকের কর্মকর্তারা জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
অনুমোদিত মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার নিজ নামে ঢাকা শহরে (২ নম্বর শিক্ষা সম্প্রসারণ সড়ক, নায়েম রোড, ঢাকায় পৌনে ১৮ কাঠা জমির ওপর ৬ তলা বাড়ি) পৈত্রিক বাড়ি ও জমি থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে প্রতারণার আশ্রয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্য ঢাকা ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (এলটমেন্টস অব ল্যান্ডস) রুলস ১৯৬৯ এর বিধি ১৩ লঙ্ঘন করে হলফনামা দাখিল করে রাজউকের ১০ কাঠা প্লট আত্মসাৎ করার মাধ্যমে অপরাধ করেছেন।
#