দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
জাল কাগজপত্র সৃজন করে ৫ হাজার৮২৩ মে:টন সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে রংপুরে ১৬ জন চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান, দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক।
তিনি আরো জানান, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
দুদক সংশ্লিষ্ট আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরােধ আইনের ৫(২) ধারায় গত ২৬ আগস্ট মামলাটি রুজু করেছে।
মামলায় আসামীরা হলেন, ১) মাে: জহিরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, গােবিন্ধগঞ্জ, গাইবান্ধা; ২) মাে: মােশাহেদ হােসেন চৌধুরী, চেয়ারম্যান, ১নং কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ; ৩) মাে: রেজাউল করিম (রফিক), চেয়ারম্যান, ২নং কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ; ৪) মাে: তাহাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, ৩নং শাখাহার ইউনিয়ন পরিষদ; ৫) মাে: আব্দুল লতিফ সরকার, চেয়ারম্যান, ৪নং রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদ, ৬) মােঃ শাকিল আলম, চেয়ারম্যান, ৫নং সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদ; ৭) আ. র. ম. শরিফুল ইসলাম জজ, চেয়ারম্যান ৬নং দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদ; ৮) মাে: আতিকুর রহমান আতিক, চেয়ারম্যান, ৭নং তালুককানুপুর ইউনিয়ন পরিষদ; ৯) মাে: আব্দুল কাদের প্রধান, চেয়ারম্যান, ৮নং নাকাই ইউনিয়ন পরিষদ, ১০) আকতারা বেগম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
১১) মাে: শাহদাত হােসেন, চেয়ারম্যান, ১০ নং রাখালবুরুজ ইউনিয়ন পরিষদ; ১২) মােঃ আব্দুল মান্নান মােল্লা, চেয়ারম্যান, ১১নং ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ, ১৩) মাে: শরীফ মােস্তফা জগলুল রশিদ রিপন, চেয়ারম্যান, ১২ নং গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ; ১৪) মােঃ শরিফুল ইসলাম রতন, চেয়ারম্যান, ১৩নং কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদ; ১৫) মাে: মােশারফ হােসেন, চেয়ারম্যান, ১৪নং কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদ; ১৬) সেকেন্দার আলী মন্ডল, চেয়ারম্যান, ১৫ নং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ; ১৭) মাে: আব্দুল লতিফ প্রধান, চেয়ারম্যান, ১৬ নং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, ১৮) মাে: আমির হােসেন শামীম, চেয়ারম্যান, ১৭ নং শালমারা ইউনিয়ন পরিষদ, ১৯) মােছা: গােলাপী বেগম, কাউন্সিলর, গােবিন্ধগঞ্জ পৌরসভা।
এই আসামিদের বিরুদ্ধে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গাইবান্ধা জেলার গােবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় সভার অনুকূলে জিআর এর বরাদ্দকৃত ৫ হাজার ৮২৩ মে:টন সরকারি চাল পরস্পর যােগসাজশে জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ পূর্বক প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাল কাগজপত্র সৃজনের মাধ্যমে উত্তোলন পূর্বক কালােবাজারে বিক্রয় করেছেন।
তৎকালীন সরকারী আর্থিক মূল্য প্রতি মে:টন চাল ৩৭ হাজার ৮৩৬ টাকা ৪৪ পয়সা হিসেবে মােট (৫,৮২৩ x ৩৭,৮৩৬.৪৪)= ২২ কোটি ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৯০ টাকা আত্মসাত করেছেন।
#