দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, যে কোন মূল্যে নগরীতে প্রাণঘাতি এডিস মশার জীবানুবাহি ‘ডেঙ্গু রোগ’ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরবরাহকৃত ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী ওইসব রোগীর বাড়ির আঙ্গিনা ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযানের পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
তিনি একই সঙ্গে নগরীতে সবধরনের মশা নিয়ন্ত্রণে মশক নিধনের নিয়মিত কার্যক্রম তদারকির জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে।
রোববার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় নগরীতে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, আ লিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস এবং ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ছাদ হতে আঙ্গিনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিশেষভাবে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সংযুক্ত হয়ে সরাসরি ফেসবুক লাইভে নির্দেশিত কার্যক্রম মনিটরিং করেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ” ডেঙ্গু রোগ ও এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য আজ ১৭ জুলাই থেকে আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হলো। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আমরা সরাসরি তদারকি করব।”
প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও আ লিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীরা নিয়োজিত আছেন উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “প্রত্যেকটি রোগীর ঠিকানা চিহ্নিত করে ওইসব বাসা বাড়ি এবং স্থাপনার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কোথাও যদি পানির উৎস, এডিশ মশার উৎস থাকে সেটা নির্মূল করা। সেই এলাকা সকালবেলা লার্ভিসাইডিং করা এবং বিকেল আবার সেই এলাকাটা যথাযথভাবে ফগিং (এডাল্টিসাইডিং) করে আমরা সম্পূর্ণভাবে মশক বিস্তার নির্মূল এবং নিয়ন্ত্রণ করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।”
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ” আগামী দুই মাস এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমরা আশাবাদী ,তাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হব। আমাদের সকল কাউন্সিলর এরই মাঝে কাজ শুরু করেছেন। সকাল থেকেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ ১৭ জুলাই ১৩টি ঠিকানায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৩ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই সরাসরি তদারকি করা হবে।”
মশক সুপারভাইজার, কাউন্সিলর এবং আ লিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ সরাসরি তথ্য দিচ্ছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, “এছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাসা, সরকারি আবাসনসহ যে সকল জায়গায় আমরা ব্যত্যয় পাচ্ছি সেসব জায়গায় আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছি। জরিমানা করছি এবং সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ।