দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ওই দেশের নাগরিকরাও অনেকটা স্বাভাবিক জীবন উপভোগ করছেন। বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ছবিতে দেখা গেছে, আফগানরা রেস্তোরাঁয় জড়ো হয়েছে কিংবা সবাই মিলে পার্কে প্যাডেল নৌকায় চড়ে অবসর উপভোগ করছে।
গত ১০ সেপ্টম্বর (শুক্রবার ) হেরাতে সশস্ত্র তালেবান সৈন্যরা কাছাকাছি পাহারায় দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও যুবকদের একসাথে আড্ডা মারতে ও হাসাহাসি করতে দেখা যায়। আফগানরা রেস্তোরাঁয় ভিড় করছে, পার্কে জড়ো হচ্ছে এবং এমনকি পানিতে চিত্তাকর্ষকভাবে নৌকা চালানো উপভোগ করছে এমন দৃশ্যগুলোতে পরিস্কার যে তাদের জীবন স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
গত মাসে সাধারণ মানুষের সাথে তালেবান যোদ্ধাদের ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় যা একই ধরনের বার্তা দেয়। তালেবানরা তাদের ইমেজকে আরও প্রগতিশীল এবং মধ্যপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার চেষ্টা করছে। যদিও নারীদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবলের মতো খেলাধূলা নিষেধ করা হয়েছে এবং ছোট-খাট কিছু বিক্ষোভ হয়েছে তবে তালেবান যোদ্ধারা বলছেন, তারা বদলে গিয়েছেন এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
তাদের একজন স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আমরা বদলেছি। আমরা অনেক বদলে গেছি। আল্লাহর প্রশংসা করুন, আমাদের আচরণ এখন খুব ভালো … আমরা ভদ্র, আমাদের আচার -আচরণ ভালো এবং আমাদের আচরণ অনেক উন্নত। আমরা গত সরকারের চেয়ে অনেক ভালো। কাবুল এখন নিরাপদ। নিরাপত্তা ভালো।’
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর অনেক মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে রাজধানী কাবুলে, নানা উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছিলো। কিন্তু একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ, যারা এই ভয়াবহ যুদ্ধ দেখে অভ্যস্ত, তাদের মধ্যে যেন স্বস্তি ফিরে এসেছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলের লোগারের ওইসব এলাকা ঘুরে এই তথ্য জানিয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতা সেকান্দার কিরমানি।
একজন গ্রামবাসী বিবিসিকে বলেন, ‘পরিস্থিতি আগে খুবই খারাপ ও বিশৃঙ্খল ছিল। দোকানে বা বাজারে যাওয়ার সুযোগও হতো না আমাদের। কিন্তু এখন আমি যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারি এবং নিজে উপার্জন করতে পারি।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ, বিবিসি, স্কাই নিউজ।